আমাদের কাগজ ডেস্কঃ সাবেক স্বামীর কাছে থাকা সন্তানদের দেখতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী (২৯) এক নারী। এ ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি মামলা করলেও বিষয়টি গতকাল শনিবার জানাজানি হয়। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এতে বলা হয়, রাজধানী ঢাকায় গত ২৫ জানুয়ারি তার সাথে অমানুবিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটে।
স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে ওই নারী মোহাম্মদপুর থানার এলাকার বছিলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
তার স্বামী একজন রাজমিস্ত্রি। পারিবারিক বিরোধে মাস চারেক আগে স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর বিচ্ছেদ হয়। এরপর ওই নারী সন্তানদের তাদের বাবার কাছে রেখে গ্রামের বাড়ি যশোরে চলে যান।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ২৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সন্তানদের দেখতে ওই নারী একাই যশোর থেকে বছিলায় আসেন। কিন্তু স্বামী সন্তান নিয়ে যে বাসায় থাকতেন, সে বাসায় গিয়ে জানতে পারেন- তারা কেউ নেই।’
‘এরপরেই তাদের খোঁজে আশপাশে দুইজনকে জিজ্ঞাসা করে কোনো সঠিক ঠিকানা না পেয়ে যশোর যেতে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশা ভাড়া করেন। কিন্তু অটোরিকশায় চালক তাকে গাবতলী না নিয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করাকালে হঠাৎ করে দুইদিক থেকে দুইজন তার রিকশায় উঠে জিম্মি করে ফেলে। পরে চালকসহ তিনজন তাকে ভয় দেখিয়ে বছিলার ফিউচার টাউনের ৫ নম্বর সড়কে একটি নির্মাণাধীন বাসার শ্রমিকদের অস্থায়ী টিন শেড ঘরে নিয়ে আটকে রাখেন।’
পরে অস্থায়ী সেই টিনের ঘরে অটোরিকশাচালকসহ চারজন তাকে ধর্ষণ করে। অন্য একজন পাহারায় ছিল। ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। এখন তাকে পরিবারের জিম্মায় ছাড়া হয়েছে।’
আমাদের কাগজ/এমটি


















