আমাদের কাগজ ডেস্কঃ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে রসুনের । এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরের হিলিতে এমন চিত্র দেখা মিলেছে বাজারগুলোতে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৪ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকায় এবং ১৫ দিনের ব্যবধানে রসুনে কেজি প্রতি ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি না থাকায় এমন সংকটময় খরা দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাজারে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। এতে বিপাকে সাধারণ মানুষ ক্ষোপ ছাড়ছেন অনেকেই।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এক শিক্ষক বলেন, নিত্য পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। মাস শেষ যে কটা টাকা বেতন পাই তা বেশির ভাগটা বাজার করতে লাগছে। এমন চলতে থাকলে আমরা যারা কম আয়ের মানুষ আছি তারা না খেতে পেয়ে মরব।
অন্যদিকে রসুন কিনতে আসা আসমা হানিফ সাহেব বলেন, বাজারে এসে কোন পণ্যে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। একসপ্তাহের মধ্যে বাজারের ধরণ পালটে গেছে। তিনি জানান, এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসছি। অর্ধেক বাজার না করতেই টাকা প্রায় শেষ। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। রসুন কেজি প্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই সঙ্গে ডিমের দামও বেশি। এমন চলতে থাকলে রাজার ভান্ড খালি হয়ে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ, রসুন বিক্রেতা হামিদ মিয়া বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবারহ বৃদ্ধির কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে। অন্যদিকে রসুনের দাম অনেকটাই বেশি। দেশি রসুন ১২০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। আমাদেরও তো বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে বাঁচতে হবে নাকি!
আমাদের কাগজ/এমটি



















