সারাদেশ ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:০১

যশোরে সেই ভুয়া ডাক্তার খন্দকার কবীর ফের আটক

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ,কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়াতে যার ওষুধি গুনের -গুগান সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়। সে আর কেউ নয় প্রতারক ও ভুয়া ডাক্তার খন্দকার কবীর হোসেন। 

একাধিক ফেসবুক পেজ খুলে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে (চিকিৎসা ও ওষুধ পাঠানোর নামে) মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ একটি প্রতারণা মামলাও দায়েল ছিল তার নামে। স্থানীয় সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সেলিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তথ্য অনুযায়ী,যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা মল্লিক পাড়ার ননী ফল নার্সারির মালিক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দন্ডিত সেই প্রতারক ভুয়া ডাক্তার খন্দকার কবীর হোসেন ফের আটক হয়েছে।  

এস আই সেলিম হোসেন জানান, কুষ্টিয়ার সরকারি একটি দফতরে অফিস সহকারী পদে কর্মরত তানজিল নামে এক ব্যক্তি খন্দকার কবীর হোসেনের ফাঁদে পড়ে চিকিৎসা প্রতারিত হন। গত ১ জানুয়ারি তিনি (তানজিল) খন্দকার কবীর হোসেনের নামে কুষ্টিয়া সদর থানায় প্রতারণার মামলা করেন। যার নম্বর ২৩। কুষ্টিয়া সদর থানার পুলিশ শনিবার রাত ৯ টার দিকে ছাতিয়ানতলা মল্লিকপাড়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কবীর হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ননী ফল নার্সারির আড়ালে চিকিৎসার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন খন্দকার কবীর হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের দুর্বলতাকে পূঁজি করে যৌন ও ক্যান্সার চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিচ্ছিলেন। তার প্রতারণা ও অপকর্ম নিয়ে খন্দকার কবীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। গত বছরের ১৭ মে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতারক কবীরের ডেরায় অভিযান চালায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্যান্সার ও যৌন চিকিৎসায় প্রতারণা ও অবৈধভাবে ওষুধ তৈরির দায়ে খন্দকার কবীর হোসেনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে।

অভিযানে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রতারক কবীর জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসেই ডিজিটাল প্লাটফর্মে চিকিৎসা প্রতারণা ব্যবসা জোরদার করেন।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ খন্দকার কবীর হোসেনের ডেরায় অভিযান চালায়। এসময় কবীর হোসেন রক্ষা পেলেও তার চার সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। পরে এস আই মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বাদী হয়ে কবীর ও তার ৪ সহযোগীর নামে মামলা দায়ের করেন। কিছু দিন গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকার পর তিন ফের প্রতারণা ব্যবসা শুরু করেন। 

আমাদের কাগজ/ এমটি