সারাদেশ ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৪:১৬

মেয়র আতিকের কলা গাছ থেরাপি শুরু 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে আজ থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। 

জানা যায়, এ অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশান ২ এর একটি বাসার সামনের ড্রেনে কলা গাছ ঢুকিয়ে পরিচালনা কার্যক্রম শুরু করেছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। বুধবার (৪ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে গুলশান ২ এর ১১২ নম্বর রোডের একটি বাসার ড্রেনে মেয়রের নির্দেশে কলাগাছ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরে আরও বেশ কিছু বাসা-বাড়ির ড্রেনের লাইনে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

মেয়র জানান, পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে আজ থেকে আমরা এই অভিযান শুরু করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে, এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমরা এই তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। সব বাসা-বাড়িতে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো, যেখানে কেউ বিন্দুমাত্র ছাড় পাবেন না।তিনি আরও বলেন, কোনোভাবেই ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি করপোরেশনের ড্রেনে, খালে, লেকে ঢুকতে পারবে না। 

অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে তাদের জানিয়ে আসছি, সচেতন করে আসছি। গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি, কিন্তু তারা কথা শুনেননি। তাই আজ থেকে এই অভিযান শুরু করলাম। বাসার সামনে গিয়ে ড্রেনগুলো আমরা কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছি।

প্রসঙ্গত,বিশ্বের অন্যতম দুর্বল পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঢাকায়। গত ৪০ বছরেও ঢাকায় কোনো পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তাই পয়োবর্জ্যের উৎসেই ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

একজন ব্যক্তি দৈনিক ৯১ লিটার পয়োবর্জ্য নিঃসরণ করেন। ঢাকা ওয়াসার আওতাধীন জনসংখ্যা এক কোটি হিসাবে রাজধানীতে দৈনিক ৯১০ মিলিয়ন লিটার পয়োবর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি এবং বাসাবাড়িতে সেপটিক ট্যাংক না থাকায় দৈনিক ৯০০ মিলিয়ন লিটার অপরিশোধিত পয়োবর্জ্য সরাসরি মিঠাপানির উৎসে চলে যায়।


আমাদের কাগজ/এম টি