নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলায় নববধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সোহেল (২৭) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে । ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক আত্মগোপনে রয়েছে। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছেন স্বজনরা।
অভিযুক্ত সোহেল ভোলা সদর উপজেলা ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং স্থানীয় লাহিড়ী বাজারের ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসায়ী। সে ওই নববধূর প্রেমিক বলে অভিযোগ উঠেছেন। সম্প্রতি ভুক্তভোগীর অন্যত্র বিয়ে হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্বজনদের দাবি, গত ২৮ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন তিনি। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তার সাবেক প্রেমিক সোহেল এক বন্ধুর সহযোগিতায় তাকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় চার দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। নিখোঁজের পর থানায় জিডি করা হয়েছে। এরপর তার পরিবার সংবাদ পেয়ে রবিবার,১ জানুয়ারি তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী জানান, পাঁচ বছর ধরে সোহেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিন মাস আগে সোহেল অন্যত্র বিয়ে করায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। মাস দেড়েক আগে তারও অন্যত্র বিয়ে হয়। এখনও তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়নি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত সোহেল আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরিবারের দাবি, ভুক্তভোগীর সঙ্গে পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরও ভুক্তভোগীর পরিবার সোহেলের সঙ্গে তাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। শত চেষ্টা করেও প্রেমিকাকে পায়নি। বাধ্য হয়ে সোহেল পাঁচ মাস আগে অন্যত্র বিয়ে করে। বিয়ের পরও ভুক্তভোগী তার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নিজেই সোহেলের হাত ধরে পালিয়ে যায়। স্বেচ্ছায় তারা শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। সংবাদ পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
সোহেলের পরিবারের আরও অভিযোগ, ওই তরুণী স্বেচ্ছায় গেলেও পরিবারের চাপে এখন সোহেলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
ভোলা সদর মডেল থানার এসআই কবির উকিল বলেন, জিডির সূত্রে ধরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলমান ছিল। এর আগেই পরিবার তাকে উদ্ধার করেছে। ভুক্তভোগী দাবি করছে, তার সাবেক প্রেমিক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে, ভুক্তভোগী স্বেচ্ছায় সোহেলের সঙ্গে গেছে। তাদের দুজনের মধ্যে যা হয়েছে স্বেচ্ছায় হয়েছে। তারা এখন থানায় ওসি স্যারের কাছে এসেছে।
আমাদেরকাগজ / এইচকে




















