সারাদেশ ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:৫২

লোকবল সংকটে বন্ধ ৫৪ স্টেশন

রাজশাহী প্রতিনিধি: রেলের পশ্চিমাঞ্চলে লোকবলের অভাবে মোট ১৭৫টি স্টেশনের মধ্যে বন্ধই রয়েছে ৫৪টি স্টেশন। শুধু তাই নয়। এ স্টেশনগুলোতে কোন টিকিটও বিক্রি হয়না। যার ফলে যাত্রীরা টিকিট ছাড়ায় ট্রেন ভ্রমন করছে। এতে করে রেলওয়ের হাজার হাজার লোকসান হচ্ছে।

জানা গেছে, ঈশ্বরদী-ধলারচর রেলপথে ১০টি স্টেশন রয়েছে। ১৭ অক্টোবর এই ছয়টি স্টেশনে টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। এক সপ্তাহের জন্য টিকিট বিক্রি বন্ধ। এসব স্টেশনে রেলের নিজস্ব জনবল নেই। স্টেশনগুলি দৈনিক মজুরিপ্রাপ্ত টিআরএল (টেম্পোরারি লেবার রিক্রুট) জনবল দ্বারা পরিচালিত হত। টিআরএল লোকবল ঢাকায় আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় স্টেশনগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। এতে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।

পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় অনুসারে, ঈশ্বরদী-ধলারচর রেলপথটি ১৭৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের জুন মাসে চালু করা হয়েছিল। ধলারচর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ‘ধলারচর এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন চলছে। সকালে ধল্লাচর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়ে। বিকেলে আবার ফিরে আসে।

নতুন রেলপথে ঢালারচর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত স্টেশন রয়েছে মোট ১০টি। কিন্তু স্টেশনগুলোর জন্য রেলওয়ে পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেয়নি। ১০টি স্টেশনের মধ্যে বাঁধের হাট, কাশিনাথপুর, সাঁথিয়া, রাজাপুর, তাঁতিবন্ধ, দুবলিয়া, রাঘবপুর এই ৭টি স্টেশনে রেলওয়ের নিজস্ব কোনো লোকবল নেই। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী লোকবল দিয়ে স্টেশনগুলো চালানো হয়। তবে গত ১৭ অক্টোবর ওই কর্মীরা তাঁদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনে নামে। তারা সবাই ঢাকা চলে যায়। এতে স্টেশনগুলোর সব কার্যক্রম ও টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। 

মিথুন নামে টিআরএল এর একজন কর্মী জানান, পশ্চিম রেলওয়েতে পাকশী, লালমনিরহাট ডিভিশন (বিভাগ) এবং খুলনা রয়েছে। এগুলোতে দৈনিক মজুরিভিত্তিক লোকবল রয়েছে প্রায় ২ হাজার ১০০ জন। তাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। 

পশ্চিম রেলওয়ের জিএম অসিম কুমার তালুকদার জানান, পাবনার ছয়টি স্টেশন লোকবলের কারণে বন্ধ ছিল। এই স্টেশনগুলোতে টিআরএল লোক কাজ করতেন। তাদের কাজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ। তাই অনেকেই ঢাকায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ৪২টি স্টেশনে নিজস্ব কোনো লোকবল নেই। দৈনিক মজুরি প্রাপ্ত লোকবল দিয়ে স্টেশনগুলো চালানো হচ্ছে। 


আমাদেরকাগজ/এইচএম