নিজস্ব প্রতিবেদক: সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির শখে ও ভালো লাগা এবং সবুজকে ধরে রাখার জন্য নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় নিজ কর্মস্থলেই গড়ে তোলেন ছাদবাগান। ভবনের ছাদে উঠলেই চোখে পড়বে সারি সারি ফলের গাছ। যেন প্রকৃতির এক টুকরো নির্মল উদ্যান। ফলের বাগান করে তিনি যেমন আনন্দ পাচ্ছেন তেমনি বিশুদ্ধ পাচ্ছেন ফল।
তিনি বলেন, বাগান করতে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন আমার দপ্তরের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিরল প্রজাতির ফলের চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। ছাদবাগান রক্ষণাবেক্ষণ কৃষি দপ্তরের সবাই মিলে করি।
কয়েক মাসের মধ্যেই এসেছে ফলন। এসব ফল দিয়ে চলছে অতিথি আপ্যায়নও। এ ছাদ বাগানের পুদিনা পাতা দিয়েই চা তৈরি করে সেবা প্রত্যাশীদের আপ্যায়ন করানো হয়।
ছাদবাগানে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ ভবনের ছাদে সারিবদ্ধভাবে বড় ড্রামে মাটি ভরাট করে প্রতিটি টবে লাগানো হয়েছে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ৩০ ধরনের শতাধিক ফলের গাছ। এর মধ্যে দুর্লভ মিয়াজাকি বা সূর্য ডিম আমের গাছও আছে। এখানে বারোমাসি কাটিমন আম, হাড়িভাঙ্গা আম, ব্রুনাই কিং আম, বারি মাল্টা-১, ভিয়েতনামী বারো মাসি মাল্টা, নাগপুরি কমলা, দার্জিলিং কমলা, ঝুরি কমলা, চাইনিজ কমলা গাছ আছে। এছাড়া ড্রাগন, সফেদা, রকমারি জামরুল, আঙুর, আপেল, আমড়া, ডালিম, লটকনসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ আছে।
বারোমাসি আমে মুকুল এসেছে। নাগপুরি কমলা, বারি মাল্টা-১, দার্জিলিং কমলা, ঝুরি কমলা গাছে ফল ধরেছে। এছাড়া লেবুগাছে নতুন কুঁড়ি এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ছাদ কৃষিতে খরচ খুবই কম হয়। স্বল্প পরিসরে গাছ লাগিয়ে বিষমুক্ত ফল-সবজি খাওয়া সম্ভব। এতে পরিবারের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। আবাসিক ভবন বা সরকারি ভবনের ছাদে বাগান করা দরকার। কেউ করতে চাইলে তাদের জন্য আমাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান বলেন, আমি এরই মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ছাদ বাগান পরিদর্শন করেছি। খুবই চমৎকার একটি বাগান করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এভাবেই প্রতিটি সরকারি ভবনের পাশাপাশি আবাসিক ভবনের ছাদেও বাগান করা প্রয়োজন। তাহলে আমাদের সবার পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।
আমাদেরকাগজ/ এএইচ




















