সারাদেশ ১ নভেম্বর, ২০২২ ০৫:৩৫

পদ্মা সেতুতে চললো যে ‘কার’

ছবি:ইন্টারনেট

ছবি:ইন্টারনেট

জেলা প্রতিনিধি: দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র পদ্মার খুঁটির নিচে দেবে গিয়ে শেষ পর্যন্ত দেশবাসীর পরম স্বপ্নের পদ্মা সেতু গত ২৪ জুন পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাহসী কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এটি অনন্য অর্জন।

সেতুটি শেষ পর্যন্ত প্রমত্তা পদ্মার বুকে পদ্মা সেতু নামেই দাঁড়িয়ে থাকবে। নেতাকর্মীদের দাবিকে উপেক্ষা করে সেতুর নামকরণ নিয়েও তিনি এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। এটাই হলো দেশের প্রধানমন্ত্রীর লোভ-লালসা ত্যাগের এক বিরাট দৃষ্টান্ত।

এবার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ সফলভাবে চলাচল করেছে। চার কিলোমিটার পাথরবিহীন এবং ২৮ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায় কারটি। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ভাঙ্গা পুরনো স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক রেলটি পদ্মা সেতুর অভিমুখে ছেড়ে আসে।

মাঝপথে কয়েকটি স্থানে নেওয়া হয় বিরতি।পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মাওয়া-ভাঙ্গা (সেকশন-২) অংশের স্টেশন ইনচার্জ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ৪৫০ মিলিমিটার পুরুত্বের সাব বেলাস্ট তৈরির পরই এর ওপর প্রথমে ১৫০ মিলিমিটার ভারী করে পাথর টুকরো বিছিয়ে কমপেকসন করা হয়েছে। এরপর চীনা ট্র্যাক ক্যারিয়ার মেশিনে একসঙ্গে ১৫ টন ওজনের ২৫ মিটার দীর্ঘ ‘ট্র্যাক প্যানেল’ বসিয়ে দেওয়া হয়। এর ওপর ৭৫ মিলিমিটার ভারী করে দু’দফায় পাথর টুকরো ফেলে কমপেকসনে কংক্রিটের স্লিপার পোক্তভাবে বসানো হচ্ছে। ফাইনাল টিউনিং করে এলাইনমেন্ট ঠিক হলেই টেম্পিং করে ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দ্রুতগতির রেল চলাচল উপযোগী করে নিখুঁতভাবে রেল ট্র্যাক বসানো হয়।

৩২ কিলোমিটার পথে আধুনিক রেললাইন বসে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে এ পথের কাজ শেষ হয়েছিল। আজ চীনা তৈরি একটি গ্যাঙ্কার পরীক্ষামূলক চালানো হয়। পরীক্ষামূলক হওয়ায় কিছুটা ধীরগতিতে কারটি চালানো হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বিরতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ পথে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। আজকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হয়েছে।

এদিকে মাওয়া-ভাঙ্গা সংযোগে ট্রেন পাড়ি দেবে পদ্মা সেতু। তবে এখন পর্যন্ত মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি। পদ্মা সেতুর নিচতলায় রেললাইন বসানোর জন্য প্রস্তুতির কাজ চলছে সতর্কতার সঙ্গে। সেতুতে রেললাইন বসানোর পরই সেতু অতিক্রম করবে ট্রেন। 

 

আমাদের কাগজ//টিএ