সারাদেশ ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ০১:৫৪

৪ মাস আটকে রেখে রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণ

প্রতীকি ছবি

প্রতীকি ছবি

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ৪ মাস আটকে রেখে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক রোহিঙ্গা তরুণী (১৪)। উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এনে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার সঙ্গে সুবর্ণচর উপজেলার শাহাদাত নামে এক যুবক জড়িত বলে ভুক্তভোগী জানান। অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহাদাত উপজেলার চরআলাউদ্দিন গ্রামের মৃত আসাদুল হকের ছেলে এবং কচি (২৭) একই এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিনের ছেলে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সহায়তায় নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে চরজব্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী জানান, মোহাম্মদ শাহাদাত (২৮) নামে এক যুবক ৪ মাস আগে দালালের মাধ্যমে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ওই তরুণীকে বিয়ে করার জন্য ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে সুবর্ণচরে নিয়ে আসে। পরে উপজেলার খাসেরহাট সড়কের মাথায় একটি বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে মেয়েটিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে শাহাদাত।

এ সময় শাহাদতের অপর সহযোগী কচি ওই রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আচ করলে দালালরা মেয়েটিকে একা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ওই রোহিঙ্গা তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করে।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি অভিযোগ করে জানায়, শাহাদাত তাকে এখনো বিয়ে করেনি। সে শাহাদাতকে বিয়ে করতে চায়। এছাড়া শাহাদতের সহযোগী কচি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

চরজব্বার থানার ওসি দেব প্রিয়া দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।


আমাদেরকাগজ/এইচএম