চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারনে কোয়ারেন্টিন শব্দটি সামনে এসেছে সকলের। এবার করোনা থেকে সুরক্ষায় প্রাণী–পাখিকেও যেতে হচ্ছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে। সেই অনুসারেই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হল্যান্ড থেকে আনা দুইটি পুরুষ, চারটি স্ত্রী ক্যাঙারু এবং দুইটি পুরুষ, চারটি স্ত্রী লামাকে রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। এসময় পর্যন্ত প্রাণীগুলো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকবে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) প্রাণীগুলোর কোয়ারেন্টিনের তৃতীয় দিন চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন,আগামী ১৫ দিন প্রাণীগুলো থাকবে কোয়ারেন্টিনে। ‘নতুন ১২ প্রাণীর মধ্যে দুইটি পুরুষ, চারটি স্ত্রী ক্যাঙারু এবং দুইটি পুরুষ, চারটি স্ত্রী লামা আনা হয়েছে। এসময় পর্যন্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণীগুলোর দায়-দায়িত্ব নেবেন। এরপর সেগুলো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বুঝে নেবে।’
এর আগে, শুক্রবার হল্যান্ড থেকে আনা তিন জোড়া করে ক্যাঙ্গারু ও লামা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছায়। দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় সিংহ, ম্যাকাউ, ওয়েলবিস্ট, ক্যাঙারু, লামা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ক্যাঙারু ও লামা এলো চিড়িয়াখানায়।
১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এর আগে ৩৩ লাখ টাকায় আফ্রিকা থেকে এক জোড়া বাঘ আনা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে শতাধিক প্রজাতির অর্ধসহস্রাধিক পশু ও পাখি আছে। পশুর মধ্যে আছে সিংহ, পুরুষ ভাল্লুক, কুমির, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, উল্টোলেজি বানর, উল্লুক, হনুমান, গয়াল, সজারু, শেয়াল, মেছোবাঘ, গন্ধগোকুল, জেব্রা ইত্যাদি। রয়েছে ময়ূর, উটপাখি, ইমু, তিতির, টিয়া, চিল, শকুন, টার্কি, পায়রাসহ একটি পক্ষীশালা এবং প্রচুর অজগর সাপ।
আমাদের কাগজ/ ইদি




















