বাগেরহাটের রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মালামাল চুরি দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। মূল্যবান এ সব যন্ত্রাংশ চুরির কারনে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটি।
দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিগত কয়েক মাসে চুরি হওয়া চার হাজার কেজি তামার তার এবং প্লেন শিট, টিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করেছেন তারা। এ সময়ে চোর চক্রের অর্ধ শতাধিক সদস্যকে আটকও করা হয়েছে।
নিরাপত্তার অভাবে চুরি হচ্ছে এসব মূল্যবান মালামাল দাবি করে নিরাপত্তা আরও জোরদারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভূমি উন্নয়ন থেকেই এ চুরির ঘটনা শুরু হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলমান অবস্থায়ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। ডি ব্লকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৩০০ একর জায়গায় তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে যন্ত্রাংশ রাখা হয়েছে। তবে বেড়াগুলো খুবই নাজুক ও আগাছা জন্ম নেওয়ায় সেখানে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সেখানে নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যাও কম। ফলে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে খুলনা আনসার ব্যাটালিয়ন-৩ এর অধিনায়ক চন্দন দেবনাথ বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আয়তনের তুলনায় নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা অপ্রতুল। কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের নদী পথ অরক্ষিত থাকাটাও চোরদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তারপরও ২৩ জনকে গ্রেফতার ও চুরির অন্তত ৩৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করতে পেরেছি।
চুরি আগের তুলনায় কমেছে উল্লেখ করে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, গেল দুই বছরে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর হাতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির সঙ্গে জড়িত শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে।
এর আগে, চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬ চোর চক্রের ১৯ জনকে আটক করেছে। এসব অভিযানে দুই হাজার ১৫০ কেজি তামার তারসহ বিপুল লোহার পাইপ জব্দ করা হয়।
আমাদের কাগজ/ ইদি




















