আমিনুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পানি নিষ্কাশনের নালায় বাঁধ দিয়ে ঘরবাড়ি ও পুকুর র্নিমাণ করায় উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের চাতরার ও মাথাঢুলার ছড়ার দোলায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফুলবাড়ী ও শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম ও এর আশপাশের প্রায় ৮০০ একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। এতে করে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ফসলহানিসহ নানা সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে জলাবদ্ধতার কারনে জন্ম নেওয়া কচুরিপানা,জলজ উদ্ভিদের ঝোপ ঝাড়ে বেড়ে গেছে মশা-মাছির উপদ্রব। এর নোংরা পানি ব্যবহারে স্থানীয়রা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় জন প্রতিনিধি কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের পানিমাছকুটি ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের নন্দিরকুটি, ভুড়িয়ারকুটি, জাকলাটারী, বলদিটারী ও ফকির পাড়া গ্রামের মধ্যে এ দুই দোলার অবস্থান। স্থানীয়রা জানান, এ দোলদ্বয় কিছুটা নিচু হওয়ায় উত্তরের নাওডাঙ্গা ও তালুক শিমুলবাড়ি এলাকার বিভিন্ন দোলা ও জলাশয়ের অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়ে এখান দিয়ে পানিমাছকুটি-জকুরটল হয়ে নাওডাঙ্গার নালা দিয়ে ধরলা নদীতে গিয়ে পড়তো। ২০০০ সালে জকুরটল-পানিমাছকুটি এলাকায় নালার উৎস মুখে স্থানীয় জয়নাল আবেদিননহ স্থানীয়রা বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করে। অনেকে বাড়ি ঘর করে গাছ লাগান। ফলে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। আগে পানি নেমে গেলে কৃষকরা এসব জমিতে ইরি-বোরো, আমন ধান এবং শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করতো।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মজিবর রহমান জানান, এক সময় আমাদের এ দোলায় ধানের আবাদ হতো। এখন জলাবদ্ধতার কারনে কোনো ফসল হয় না। আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিক আবেদন করেছি।
ফুলবাড়ী সদর ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও এজাহার আলী জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ পনির উদ্দিন আহমেদ এর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী ভাবে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য একটি পাকা ক্যানেল তৈরী করে ফুলবাড়ীর ছড়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে। ফলে সেখানকার জলাবদ্ধতার অবসান ঘটবে।




















