নিজস্ব প্রতিবেদক
লন্ডনে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ছয় জনের কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পাচারকারী চক্রের তিন আসামিকে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জিআর শাখা জানায়, বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আলাউদ্দিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিন আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামি শাহীন হাসান (৪৯) ও বকুল হোসেন ওরফে রতন হাওলাদারের (৪৮) দুই দিন করে এবং অপর আসামি তারেক মাহমুদ গালিরের (২৮) একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন অপর আসামি মিজান ওরফে শাহেদ ছিদ্দিকী।
জানা যায়, বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অভিযোগকারী ছয় জনের ছয়টিসহ মোট ১৩টি পাসপোর্ট, দুটি ল্যাপটপ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেকবই, দুটি প্লাস্টিকের ভুয়া সিল, টিম হর্টনস, মেনোনাইট নার্সিং হোমস ইনকরপোরেশনের নিয়োগপত্রসহ মানবপাচার ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বরে হাতিরঝিল থানায় মো. আলী চৌধুরী নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তিনিসহ তার পাঁচ আত্মীয়কে আয়ারল্যান্ড নেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ছয়টি পাসপোর্ট ও ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। টাকা নেওয়ার পর ভুয়া ভিসা ভুক্তভোগীদের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে আরও টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু ভুক্তভোগীরা নিজেদের বিচক্ষণতায় প্রতারকদের কাছ থেকে পাওয়া ভিসাগুলো ভারতের নয়া দিল্লির আয়ারল্যান্ড অ্যাম্বেসিতে মেইলে করে পাঠায়। এতে অ্যাম্বেসি থেকে জানানো হয় ভিসাগুলো সঠিক নয়। এরপরও প্রতারকরা তাদের কাছ থেকে ভিসা পাসপোর্টের বিনিময়ে আরও টাকা দাবি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাদী বিষয়টি পিবিআইকে জানালে তদন্তপূর্বক ঘটনার প্রমাণ পেয়ে তিন জনকে মতিঝিলের ডাচ বাংলা ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তারা জানায় ভুক্তভোগীদের পাসপোর্ট তাদের কাছে নেই। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি শাহেদ ছিদ্দিকীর বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাসপোর্টসহ যাবতীয় প্রতারণার উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।




















