সারাদেশ ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৪:৫৭

দপ্তরিকে গাছে বেঁধে যুবলীগ নেতার নির্যাতন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীকে গাছে বেঁধে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত সোমবার মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্যাতনের স্বীকার দপ্তরী তোফায়েল আহমদ(৩২) বাদী হয়ে একই গ্রামের মনোয়ার আলীর পুত্র ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহনুর মিয়া (৩৫) এর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।

এদিকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে শিমুলবাক ইউনিয়নের মুক্তাখাই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করায় ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহনুর মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন ও সম্পাদক সুজন মিয়া।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মোঃ তোফায়েল আহমদ ২০১৪ সালে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে দপ্তরী পদে নিয়োগ পান। এসময় উল্লেখিত বিবাদী শাহনুর মিয়াও তার সাথে নিয়োগ পরীক্ষা দিলে তার চাকরি হয়নি। চাকরি না হওয়ায় বিবাদীর মনে ক্ষোভ জন্ম নেয়। বিবাদী শাহনুর মিয়া সবসময়ই সুযোগ খুজতে থাকেন কিভাবে তাকে শায়েস্তা করা যায়৷ এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ের কম্পাউন্ডে রংয়ের কাজ তদারকি করার সময় বিবাদী শাহনুর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে ডুকে সরকারী কাজ করতে বাধা দেয়। এবং কোন কিছু বলার আগেই বিবাদী তার উপর হামলা চালিয়ে টেনে বিদ্যালয়ের বাহিরে নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে থাকা গাছের সাথে প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় রড দিয়ে নির্যাতন করতে থাকেন।

এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। নির্যাতনের সময় দপ্তরীর চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের প্রেরণ করেন। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দপ্তরী তোফায়েলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছেন শাহনুর। এ সময় তোফায়েলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয়নাল আবেদীন এ প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত চলছে।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাওনা টাকা আদায় ও পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।