নিজস্ব প্রতিবেদক
নীলফামারীর ডোমারে বুদ্ধিমত্তায় ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেলে গৃহবধূ। এলাকাবাসীর সাহায্যে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযুক্ত অটোরিকশাচালক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন- জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মফিজপাড়া এলাকার অটোরিকশাচালক কামাল ইসলাম (২০) ও একই এলাকার তার সহযোগী ইউনুস আলী (৪৮)।
গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ওই গৃহবধূ চিলাহাটি মুন্সিপাড়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবারবাড়ি নওগাঁ যাওয়ার উদ্দেশে একটি অটোরিকশায় ডোমার রেল স্টেশনে যায়। সান্তাহার যাওয়ার ট্রেনের খোঁজ নেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূ অটোচালক কালামকে স্টেশনে খোঁজ নিতে বলেন। অটোচালক রাত সাড়ে ৮টায় সান্তাহারের ট্রেন বলে তাকে জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই গৃহবধূ টিকিট কাউন্টারে সান্তাহারের টিকিট চাইলে, সান্তাহারের কোনো ট্রেন এখন নেই বলে জানান স্টেশন কর্তৃপক্ষ। ওই গৃহবধূ সরল মনে ওই অটোরিক্শাতেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। অটোচালক তার সহযোগী ইউনুসকে সঙ্গে নিয়ে ডোমার-আমাবাড়ির অন্ধকার নির্জন রাস্তা দিয়ে চিলাহাটি রওনা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর অন্ধকার একটি স্থানে অটোর ভেতরে ও অটো থেকে টেনে নামিয়ে একটি ক্ষেতে গৃহবধূটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই গৃহবধূ তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হয়ে কৌশলে তাদের আবার অটোতে নিয়ে আসেন। কিছুদূর যাওয়ার পর ভেলেঙ্গার ডারা এলাকার রাস্তার পাশে একটি দোকানে কিছু মানুষ দেখতে পেয়ে গৃহবধূটি অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে নেমে চিৎকার করেন। তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী অটোচালক ও তার সহযোগীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে। রাতেই গৃহবধূটি বাদী হয়ে তাদের নামে ডোমার থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থালে গিয়ে আসামিদের থানায় নিয়ে আসি। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




















