নিজস্ব প্রতিবেদক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে শহীদুন্নবী জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পাটগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন্ত কুমার মোহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
এর আগে গত রোববার (১ নভেম্বর) প্রথম দফায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বুড়িমারী মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ (৬১) আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রথম দফায় গ্রেফতার পাঁচজনকে হত্যা মামলায় পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী। মঙ্গলবার তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রথম দফায় গ্রেফতাররা হলেন- ওই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আশরাফুল আলম (২২), বায়েজিদ (২৪), ইউসুব আলী ওরফে অলি হোসেনের ছেলে রফিক (২০), আবুল হাসেমের ছেলে মাসুম আলী (৩৫) এবং সামছিজুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫)।
দ্বিতীয় দফায় গ্রেফতাররা হলেন- বুড়িমারী মসজিদের খাদেম জোবেদ আলী (৫০), একই এলাকার রাজু (১৯), আনোয়ার হোসেন (৫৫), মানিক (২৬) ও মেরাজুল ইসলাম (১৭)। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগমের আদালতে (আমলি আদালত-৩) হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামি মেরাজুল হক অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ার পর তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজারের বাসকল এলাকায় শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।





















