রাজনীতি ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:৪৪

ভোট স্থগিত চেয়ে আদালতে যাচ্ছেন ৩৬ কাউন্সিলর

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আবারও রিট হচ্ছে হাইকোর্টে। ২৮ ফেব্রুয়ারির ভোটের পর প্রকাশিত গেজেটে মেয়াদ উল্লেখ না থাকায় আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন ৩৬ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। বিষয়টির সুরাহা আদালতে হওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন স্থানীয় সরকার বিশ্লেষকেরাও।

২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি উত্তর ঢাকার মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও দুই সিটির নতুন ৩৬ ওয়ার্ডের নির্বাচনের তফসিল দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটার তালিকা তৈরি না হওয়া, কাউন্সিলরদের মেয়াদকাল উল্লেখ না থাকাসহ কয়েকটি কারণে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল রিট।

এর এক বছর পর আদালতের রায় নির্বাচনের পক্ষে এলে নতুন করে ঘোষণা করা হয় তফসিল। ভোট হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। তখনই ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, তফসিল ঘোষিত পদগুলোর মেয়াদ হবে করপোরেশনের মেয়াদকাল পর্যন্ত।

সে প্রেক্ষাপটেই দুই সিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২০ সালের মে মাসে। তাই জানুয়ারিতে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। তফসিল ঘোষণা ১৮ নভেম্বরের পর। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন নতুন ৩৬ ওয়ার্ডের কাউন্সলর। মেয়াদকাল নিয়ে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও বলছেন, সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলোর মেয়াদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো বিধিমালা নেই। তাই এর নিষ্পত্তি আদালতে হওয়াই ভালো।

উত্তর ঢাকার নতুন ১৮ ওয়ার্ডের ছয় লাখসহ ৫৪ ওয়ার্ডে ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। আর দক্ষিণের বর্ধিত ১৮ ওয়ার্ডের পৌঁনে পাঁচ লাখসহ ৭৫ ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮।