ডেস্ক রিপোর্ট ।।
আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বছর জুড়ে নানা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে। তাই আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে কোনও বিদেশিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। ফলে আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত থাকছেন না কোনো বিদেশি অতিথি।
শনিবার (২ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা উপপরিষদের সভায় কমিটির আহ্বায়ক ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানান।
মোহম্মদ নাসিম বলেন, ‘যেহেতু আগামী বছরই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বিষয় রয়েছে, সেখানে আমরা বছরজুড়ে নানা আয়োজনে বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাবো। তাই আসন্ন সম্মেলনে আলাদা করে কোনও বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। তবে এখানে দায়িত্বরত বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা থাকবেন।’
বিদেশি অতিথি না থাকায় অভ্যর্থনা উপকমিটির কাজ এবার কিছুটা কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের কাজ কম। বিদেশি অতিথিরা এলে আমাদের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেটা এবার করতে হচ্ছে না। তবে আমাদের দেশের যে অতিথি, তাদের জন্য কাজ করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। আর আগামী বছর ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে।
অভ্যর্থনা উপকমিটির অনুষ্ঠানে নাসিম বলেন, ‘শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আজ এ অবস্থায় এসেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণে সারাবিশ্ব এখন তাকে চেনে। সামনের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে এবং সংগঠনকে গতিশীল করতেই এবারের সম্মেলন। জনগণই আমাদের শক্তির উৎস। এ ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।’
বিএনপি’র সমালোচনা করে নাসিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের মানুষের ওপর যে তাণ্ডব চালিয়েছে, অপকর্ম করেছে, তার ফল এখন তারা ভোগ করছে। পাপের ফল ভোগ করছে, পাপ বাপরে ছাড়ে না।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী অভ্যর্থনা উপপরিষদের সদস্য সচিব ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




















