ডেস্ক রিপোর্ট ।।
সিরাজগঞ্জের সালদা থানার হাতিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়া শিকার গ্রামের সন্তান মোঃ হেদায়েতুল আলম রেজা। ২০০১ সালে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুবলীগের সধারণ সম্পাদক হয়ে ভাগ্য খুলে যায় তার। এর পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠে এই রেজা।
তার নিজের ছিল না তেমন কোনো অর্থ-সম্পদ। দীর্ঘ ৭ বছর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে কায়েম করেন নিজের রাজত্ব। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে নিয়ে লোকের জমি দখল সব কিছুই করতেন রেজা। বর্তমানে প্রায় ২০ কোটি টাকার মালিক আলম রেজা। যুবলীগ করে কোটি কোটি টাকা অর্জন করায় সলঙ্গাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তার অবৈধভাবে গড়ে তোলা সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার নিকট তদন্তের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগ নেতা আলম রেজা দকলবাজি, চাঁদাবাজি। আর অনিয়ম করে এখন কোটি টাকার মালিক।

টাকা ও ক্ষমতার বলে তিনি এখন সলাঙ্গা থানার হাতিরকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয়বারের মত চেয়ারম্যান। ৩ বিঘা জমির উপর তুলেছেন আলিশান বাংলো বাড়ি। রাজনৈতিক কর্মকান্ড, বিভিন্ন শালিস, দরবারে চলাচল করেন নিজের গড়ে তোলা বাহিনী নিয়ে। সেই বাহিনী দিয়েই নিয়ন্ত্রন করেন সিরাজগঞ্জ রোডের মৎস আরৎ।
স্থানিয়রা জানান তিনি ঘুম থেকে উঠেন দুপুর দুইটায়। তার কাছ থেকে এলাকাবাসীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাননা। ইউনিয়ন পরিষদে সকালে আসার নিয়ম থাকলেও আলম রেজা আসেন তার ইচ্ছেমত।
ইউনিয়নের সধারন জনগণ জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে তাকে খুঁজতে গেলে পরিষদে পাওয়া যায় না এমন কি ফোনেও তাকে পাওয়া যায় না।




















