রাজনীতি ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০৪:৩২

ডিজিটাল আইনে বিএনপি নেতা হাফিজ গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

 বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর বিমানবন্দর থানা-পুলিশ তাকে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের পল্লবী অঞ্চলের সহকারী উপকমিশনার এস এম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

১২ অক্টোবর, শনিবার সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পথে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র‍্যাব-৪-এর এক উপপরিদর্শকের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে একই মামলায় কর্নেল (অব.) মো. ইসহাক মিয়ান নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্নেল ইসহাক খালেদার জিয়ার নিরাপত্তা টিম সিএসএফের (চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্স) প্রধান কর্মকর্তা।

পল্লবী থানা সূত্র মতে, র‍্যাব-৪–এর উপপরিদর্শক মো. আবু সাইদ গত শনিবার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কর্নেল (অব.) ইসহাক মিয়ানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন–২০১৮–এর ২৭,৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের পল্লবী অঞ্চলের সহকারী উপকমিশনার এস এম শামীম বলেন, ‘মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য ই-মেইলে প্রেরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইসহাককে র‍্যাব-৪ গ্রেপ্তার করে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আর মেজর (অব.) হাফিজকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। হাফিজ লন্ডন থেকে বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আজম মিয়া এই গ্রেপ্তার বা হস্তান্তরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে তারা থাকেন না। হাফিজকে গ্রেপ্তার বা হস্তান্তরও তারা করেননি।’

এ প্রসঙ্গে র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক জানান, ইসহাক নামে একজনকে গ্রেপ্তারের খবর তিনি জানেন। কিন্তু হাফিজকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি এ বিষয়ে র‍্যাব-৪-এর মেজর পদবিধারী অন্য এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। মুঠোফোনে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।