ডেস্ক রিপোর্ট।।
ভূমি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিবহণ খাতেই সবচেয়ে বেশি হয়রানি, অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হচ্ছে মানুষ।
নাগরিকদের কাছে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ শুনতে বছর দুয়েক আগে চালু করা হয় দুদকের হটলাইন ওয়ান জিরো সিক্স। হটলাইন চালুর দুই বছরে ফোন এসেছে প্রায় ৩২ লাখ।তাৎক্ষণিকভাবে চালানো হয়েছে সাড়ে ছয়শ’ অভিযান।
ফোনে আসা অভিযোগের প্রায় ষাট ভাগই সেবা সংস্থা এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে শীর্ষে- ভূমি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিআরটিএ, তিতাস, ওয়াসা, রাজউক, বিমান, সিভিল এভিয়েশনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর।
দুদকের হটলাইনে করা সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ঘুষ না দিলে এসব সেবা সংস্থার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাঙ্খিত সেবা দেন না।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের অভিযোগগুলো শুনে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছি। যে সংস্থার বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করে সেখানে আমরা রিপোর্ট পাঠাই, আমাদের গোয়েন্দা ইউনিটকে কাজে লাগাই। কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা মামলাও করে থাকি।
দুদক জানায়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুই বছরে উদ্ধার করা হয়েছে সরকারি ভূমি, ঘুষের টাকা, আটকে রাখা সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন সম্পদ।
দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা বলতে চাই আমাদের চোখ কিন্তু সবার উপরেই আছে।পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে, ধরা হবে।
যেসব খাতে অভিযোগ বেশি আসছে, সেসব খাত প্রাধান্য দিয়ে দুদকের তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, কোন ক্ষেত্রে দুদকের প্রাধাণ্য বেশি পাওয়া উচিত এবং কি প্রক্রিয়ার উপর প্রাধাণ্য দেয়া উচিত এ ধরণের বিষয়গুলো কিন্তু অভিযোগকারিদের অভিযোগ থেকেই পাওয়া সম্ভব।
ফোনে অভিযোগ পেয়ে বিভিন্ন দপ্তরের শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদ খতিয়ে দেখছে দুদক।



















