ডেস্ক রিপোর্ট।।
২০০৫ সালে পিয়ন হিসেবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যালয়ে মাত্র ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরি শুরু করেন তিনি। পরে সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর আনুকূল্যে সাত বছরের মাথায় বনে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। যুবলীগের আলোচিত এই নেতার নাম কাজী আনিসুর রহমান।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী আনিসুরের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চাকরি হয় আনিসের। অফিসের পিয়নের কাজের পাশাপাশি কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন তিনি। এতে করে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি কার্যালয়ে আসা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও পরিচয়ের সুযোগ হয় তাঁর। কম্পিউটারে নিয়মিত সারা দেশের সব যুবলীগ কমিটির তালিকা তৈরি করতে গিয়ে সব তথ্য তাঁর নখদর্পণে চলে আসে। মুখস্থ বলে দিতে পারতেন যেকোনো কমিটির নেতার নাম। এসব কারণেই চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ হয়ে যান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতা বলেন, ২০১২ সালে যুবলীগের নতুন কমিটি গঠনের সময় তিনি নিজেও আনিসকে একটা সদস্যপদ দিতে সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু আনিস পেয়ে যান উপ-দপ্তর সম্পাদকের পদ। দপ্তর সম্পাদক পদটি শুরু থেকেই খালি ছিল, ছয় মাসের মধ্যেই সেটাও পেয়ে যান।
যুবলীগের তিনজন নেতা জানান, আনিস থাকতেন টিকাটুলী এলাকায়। কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ার পর চেয়ারম্যানের কাছাকাছি থাকার জন্য ধানমন্ডিতে ভাড়া বাসা খোঁজেন। কিন্তু ভাড়া না নিয়ে ১৫ নম্বর সড়কে প্রায় আড়াই হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনে নেন। এখানেই আছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর। গতকাল রোববার ওই বাড়িতে গেলে ফ্ল্যাট মালিকদের তালিকায় তাঁর নাম দেখা যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, মালিক এখানে থাকেন না, ভাড়াটে থাকেন। বর্তমানে রাজধানীর ধানমন্ডির ১০/এ সড়কের এক বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকেন কাজী আনিস।



















