ডেস্ক রিপোর্ট।।
১০ বছর পরে ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যান তারা। এ সময় ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীরাও অন্যান্য দিনের মতো সেখানে উপস্থিত হন।
২২ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল সোয় ১১টায় মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেন ছাত্রদলের নতুন সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও সদ্য সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার।
প্রথম থেকেই উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের নেত্রীর নামে স্লোগানে দিচ্ছিলেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মধুর ক্যান্টিন।
প্রথম থেকেই উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের নেত্রীর নামে স্লোগানে দিচ্ছিলেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মধুর ক্যান্টিন।
এর পর শ্যামল আর আল মেহেদী তালুকদার মধুর ক্যানটিনের বাম পাশের টেবিলে বসলে তাদের অনুসারিরা ধীরে ধীরে স্লোগান দেন ও ভিড় করতে থাকেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রথম দিকে স্বাভাবিকভাবে স্লোগান দিলেও মাঝপথে আক্রমণাত্মক স্লোগান দিতে দেখা যায়৷ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘খালেদার চামড়া তুলে নেবো আমরা’, ‘খালেদার দুই গালে জুতা মারো তালে’, ‘ছি! ছি! খালেদা লজ্জায় বাঁচি না’, ‘জয় বাংলা’ ইত্যাদি স্লোগানের সঙ্গে করতালি দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শুধু ‘খালেদা, জিয়া’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মধুর ক্যান্টিনে পৌনে ১ ঘণ্টার মতো অবস্থান করে বের হয়ে ছাত্রদলের নতুন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম মধুর ক্যান্টিনে এসেছি। কিন্তু ছাত্রলীগ আমাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করেনি। তারা উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়েছেন। আমরা বলব ক্যাম্পাসে এখনো সহাবস্থান নিশ্চিত হয়নি।’
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রথম পদক্ষেপ কী- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সব সময় পাশে থাকবে। আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হলো বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকর সহাবস্থান এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উপাচার্যের সাথে আলোচনা করব।’




















