ডেস্ক রিপোর্ট।।
গ্রেফতার আতঙ্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের যুবলীগের নেতারা। আজ বুধবার(১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গুলশানের একটি বাসা থেকে আটক হয়েছেন দক্ষিনের যুবলীগ সাধারন সম্পাদক খালিদ মাহমুদ। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী খুজছে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। সভাপতি হওয়ার পর থেকেই এই নেতা মহানগর দক্ষিনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক খালেদকে সাথে নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন মতিঝিল, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ, খিলগাও, মুগদা, রামপুরা এলাকায়। অবৈধভাবে বসিয়েছেন ৫০ এর অধিক ক্যাসিনো। ব্যাবসা করে আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। গত বছর আঞ্জুমান মফিদুলের ভবন নির্মান বন্ধ করে চাঁদা দাবি করায় খোদ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও টেন্ডারবাজির জন্য গঠন করেছেন বিশেষ সিন্ডিকেট। তার সিন্ডিকেটের লোকজন বিভিন্ন সরকারী অফিসে পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে। প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিয়ন্ত্রন করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক), রেলভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন,ওয়াসার ফকিরাপুল জোন সহ বেশিরভাগ সরকারী অফিসের টেন্ডার।
এছাড়াও তার জীবন যাবন বেশ রাজকীয়। পাঁচ ছয়জন অস্ত্রধারী দেহরক্ষী নিয়ে সবসময় তাকে চলাফেরা করতে দেখা যায়।
স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, গত ৭ সেপ্টেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ বৈঠকে একটি ছবি দেখান যেখানে সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রহরায় যুবলীগের একজন নেতাকে দেখা যায়। ধারনা করা হচ্ছে সেই ছবিটি সম্রাটের। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এসময় একজন যুবলীগ নেতার কিসের এতো নিরাপত্তা হীনতা থাকতে পারে?
এছাড়াও গত নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়নের চেষ্টা করলেও পরবর্তিতে তার বিতকির্ত কর্মকান্ডের জন্য তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় নি।




















