ডেস্ক রিপোর্ট।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পরই ঢাকা মহানগর কমিটি ও একাধিক বিতর্কিত শীর্ষ যুবলীগ নেতার উপরে নতুন গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। যার উপর ভিত্তি করে যেকোনো সময় কয়েকজন শীর্ষ যুবলীগ নেতার বহিষ্কার আদেশ আসতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে কয়েকজন শীর্ষ যুবলীগ নেতা দলীয় নাম ব্যাবহার করে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দলের ভাবমূর্তি বাড়াতে বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যার প্রমাণ হচ্ছে সম্প্রতি দলের বিতর্কিত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিনের সভাপতি ইসমাইল হক চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ ভুইয়ার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজির একাধিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পরেই ঢাকা মহানগর যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গিয়েছে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের কাছ থেকে।
তিনি আরো বলেন খুব শীঘ্রই যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
অন্য এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, দলের ভেতরে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। অসাধু নেতাদের দৌরাত্ব্যের লাগাম টেনে ধরে শতভাগ পরিচ্ছন্ন সংগঠন উপহার দেওয়া হবে।
এর আগেও আঞ্জুমান মফিদুলের নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদা দাবি করেন যুবলীগ নেতা সম্রাট। সে সময়েও প্রধানমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ জানান। তবে কোনো এক অদৃশ্য শক্তির জোরে এখনো ঢাকা মহানগরের শীর্ষ পদে আসীন আছেন সম্রাট। এ ব্যাপারে যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করেননি।






















