রাজনীতি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:৩০

বিতর্কিত ১৯ জনের পরিচয় প্রকাশ করবে ছাত্রলীগ: লেখক

ডেস্ক রিপোর্ট।।

ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনার পর কমিটিতে বিতর্কিতদের স্থান দেওয়ায় পদবঞ্চিতরা আন্দোলন শুরু করে। তারই ফলশ্রুতিতে ১৯ জন ‘বিতর্কিত’ নেতাকে বাদ দিয়েছিল সদ্য সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। 

তবে, তাদের বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি থেকে বাদ পড়া ১৯ জনের নাম অপ্রকাশিতই থেকে যায়। কিন্তু সদ্য দায়িত্ব পাওয়া সাধারন সম্পাদক স্পষ্টই জানিয়েছেন যে সেইসব বিতর্কিতদের নাম খুব দ্রুতই প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

রবিবার(১৫ সেপ্টেম্বর) মধুর ক্যান্টিনে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

লেখক ভট্টাচার্য বলেন, গত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কেন অপসারণ করা হয়েছে আমরা সেদিকে না যাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব। ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ অভিভাবক শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে আমাদের প্রথম কাজ হবে সেগুলো ওভারকাম করা। গত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে আমাদের বিরুদ্ধে সে ধরনের অভিযোগ যেন না আসতে পারে।

বিতর্কিত ১৯ জন সম্পর্কে বলেন, বিতর্কিত ১৯ জনের লিস্ট আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে খুব দ্রুতই দিব। অনেক পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঝুলে আছে। আমরা আপার সাথে এক দু দিনের মধ্যে বসে একটা কর্মপরিকল্পনা পেয়ে যাব। তারপর আমরা একটা কর্মীসভা করব। কর্মী সভার মাধ্যমে আমরা সবাই মিলে একটা ডিসিশন নিব।

ছাত্রলীগকে সাজানোর ব্যাপারে বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা এমন একটি ছাত্রলীগকে দাঁড় করাতে চাই যেখানে ছাত্রলীগ হবে একটি ব্যানারের। সেখানে অমুকের ছাত্রলীগ তমুকের ছাত্রলীগ থাকবে না। ছাত্রলীগ বলতে আমরা একটি বুঝবো সেটা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ।

কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং সিচুয়েশনে এসেছি। আমাদের নেতৃত্বের আসার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা আমাদের সিনিয়র বড় ভাইদের সাথে কথা বলে এবং প্রাণপ্রিয় নেত্রীর সাথে কথা বলে তাদের সুপরামর্শে আমরা আমাদের সংগঠন পরিচালনা করব।

অনুভুতির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দায়িত্ব পাওয়ার চেয়ে বড় কোন সম্মানের বিষয়বস্তু হতে পারে না। আমাদের নেতৃত্বের প্রেক্ষাপট আসলে গতানুগতিক ধারায় ছিলনা। অনেক কর্মীর কষ্ট রয়েছে এতে। যেসব কর্মী মনে কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের মনে কোন ধরনের কষ্ট থাকবে না, তাদের যেসব অভাব পূরণ হবে না বলে তারা কান্নাকাটি করছে। যারা ভাবছে, শোভন ভাই রাব্বানী ভাই থাকলে আমরা ভালো থাকতাম। আমি তাদের বলছি, শোভন ভাই, রাব্বানী ভাই তাদেরকে যেভাবে সাপোর্ট দিতো আমাদের কাছ থেকে তারা সেই সাপোর্ট পাবে। শোভন-রাব্বানী ভাইয়ের সময়ে যে পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়েছিল সেই পক্ষ-বিপক্ষ আর থাকবে না। এর জন্য আমাদের যা কাজ করা লাগে আমরা করবো।