ডেস্ক রিপোর্ট
মৌলভীবাজারে নির্বাচনী পরিবেশ ২৪ ঘণ্টার ভেতর ফিরিয়ে আনা এবং বিএনপির নেতাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন পৌরনির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. অলিউর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এসময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকার নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।
বিএনপি প্রার্থী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আমাদের জনসংযোগ চলাকালীন চিহ্নিত সন্ত্রাসী শিমুল, রনি, মাহবুব ও আমিনের নেতৃত্বে তিনটি মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের শাহ মোস্তফা রোডস্থ ইসমাইল রেস্টুরেন্টে চা চক্র চলাকালীন সময় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
তাদের অর্তকিত এ হামলায় আমাদের নেতাকর্মীরা কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়ে প্রাণ ভয়ে রেস্টেুরেন্টের পিছনের দরজা দিয়ে সরে যেতে সক্ষম হন। মৌলভীবাজার জেলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই ধরণের ঘটনা এই প্রথম। তারা পরে আমাদের জেলার বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ নেত্রী সাবেক এমপি বেগম খালেদা রব্বানির বাসাসহ জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বাসার সামনে ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং শহরে প্রায় তিন শতাধিক মোটর সাইকেল বহর যোগে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে আতংক তৈরী করতে থাকে। তাছাড়া আওয়ামীলীগ সিলেট ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা সমূহ থেকে শত শত বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে মৌলভীবাজার শহরে জড়ো করেছে।
যারা প্রকাশ্যে শহরে মোটর সাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এরুপ পরিস্থিতিতে মৌলভীবাজার পৌরসভায় মেয়র নির্বাচনের আর কোন পরিবেশ নাই বলে আমি মনে করি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের শোচনীয় পরাজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামীলীগ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনের ন্যায় সন্ত্রাসী কায়দায় জোর জবরদস্তী ও কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে জিতার জন্য বদ্ধ পরিকর বলে আমি ও জেলা বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ মনে করি।
মৌলভীবাজার একটি শান্তির শহর এ শহরের শান্তি কারা নষ্ট করছে তা আপনারা জানেন। বুধবার আমরা নির্বাচনী প্রচারণা কিছুটা বাড়িয়ে ছিলাম। আর তা দেখেই তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারা জানে তাদের সাথে জনগণ নেই। তাই সন্ত্রাসীদের দিয়ে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে চায়। মানুষের রায়ের প্রতি তাদের কোন আস্থা নেই। এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিন্দুমাত্র কোনো পরিবেশ নাই বলে আমি মনে করি। তাই আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপরোক্ত উল্লেখিত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করার জন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানসহ জেলার সিনিয়র নেতাদের উপস্থিত ছিলেন।






















