নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। শান্তির চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধের কথাও বলেন তিনি।
আজ বুধবার পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তি ও উন্নয়নের ধারা। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন শেখ হাসিনা।
পার্বত্য জেলাগুলোর নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য জেলাগুলো কোনো পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়।
বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার ৮৯০টি পরিবারের মধ্যে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন, চার হাজার পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নারী ও শিশুদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য টেকসই সামাজিক সেবা, ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্যবাসীর স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে প্রায় দুই একর জমির ওপর ১৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি শৈল্পিক ও নান্দনিক কমপ্লেক্স নির্মাণের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।






















