জাতীয় ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০৯:২৪

ঢাকায় পানির হাহাকার নেই : ওয়াসার এমডি 

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আমরা পানি ব্যবস্থাপনার যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি। ঢাকা শহরে এখন আর পানির জন্য হাহাকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান।

আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৯-১০ সালে ডিজিটাল ওয়াসা গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করি। ১১ বছর পর আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমরা যে অবস্থায় ছিলাম তার চাইতে এখন অনেক দূর এগিয়েছি। আমাদের পানি উৎপাদন প্রতিদিন ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি লিটার। যা চাহিদার তুলনায় বেশি। আমরা সিস্টেম লস ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমরা নেটওয়ার্ক ডিস্ট্রিবিউশন এডিয়া বা ডিএমএ গড়ে তুলছি। ঢাকা শহরে মোট ১৪৫টি ডিএমএ হবে। ইতোমধ্যেই ৬৪টি ডিএমএ তৈরি করা হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো ঢাকা ডিএমএ'র আওতায় আসবে। এ ধরণের নেটওয়ার্ক দক্ষিণ এশিয়াতে নেই। বর্তমানে ঢাকা শহরে আমাদের অনেক দক্ষ, যোগ্য প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা টিম কাজ করছে।

ডিজিটাল ওয়াসা প্রসঙ্গে তাকসিম এ খান বলেন, আমরা আমাদের পাম্পগুলো একটা কন্ট্রোলরুম থেকে ব্যবস্থাপনা করে থাকি। মানুষের বাসায় যে মিটার সেটা মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে দেখে আসতে হয়। আমরা সেটাকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করছি। যাতে মিটার রিডিংটা ওয়েবের মাধ্যমে পাই। তাহলে এটাই হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ডিজিটার মিটার রিডিং পদ্ধতি। ওয়েবের মাধ্যমে মিটার রিডিং আমাদের আশেপাশের কোনো শহরেই নেই। এটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে এটা হবে আমাদের বড় একটি অর্জন। 

ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা একক হাতে। আমরা বলেছিলাম, এই দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে থাকতে হবে। অন্যান্য দেশেও এটা সিটি করপোরেশনের কাছেই থাকে। ২০১২ সাল থেকে আমরা এটিকে হস্তান্তর করতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে আসছি। 

তিনি দাবি করেন, গত দশ বছরে তার যে কার্যক্রম সেখানে কোথাও অস্বচ্ছতা নেই। যারা ২০০৯ সালের আগে অনৈতিক কাজ করেছে তারাই চাইছে ওয়াসার ব্যবস্থাপনায় যে থাকবে সে যেন অপেশাদার হয়।