শিলা আক্তার মৌ
দেশে একের পর এক নারী ধর্ষণ, নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। সিলেটে এমসি কলেজে গণধর্ষণ থেকে নোয়াখালীতে ঘটল গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনা। প্রতিবাদে গত দুই দিন ধরে সারা দেশে তীব্র আন্দোলন চলছে। কিন্তু এখন অবধি তেমন কোনো নারী নেত্রী বা নারী অধিকার সংস্থার প্রতিবাদ কর্মসূচি চোখে পরেনি।
সমাজের সবার একই প্রশ্ন, কোথায় নারীবাদীরা? সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে নেটিজেনেরাও তুলেছেন একই প্রশ্ন। তাদের এই ভূমিকায় খোদ উচ্চ আদালতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সাধারণত ছোট ছোট বিষয়গুলোতেও যখন নারী অধিকার সংস্থা বা সংগঠনগুলো নারীর অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে আসে, তখন দেশের এমন পরিস্থিতিতে তাদের নীরবতা সত্যিই রহস্যজনক বলে অনেকেই মনে করছেন। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জাচ্ছেন লাখো মানুষ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরদনি এই ঘটনা নিয়ে কয়েকজন আইনজীবীর আবেদনে কিছু নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট। কিন্ত কোনো নারী সংগঠন এই বিষয়ে আবেদন করেনি। এতে উচ্চ আদালতে শুনানিকালে বিস্ময় প্রকাশ করেন আদালত।
নারী আইনজীবী সমিতির সদস্য নিঘাত সীমা আমাদের কাগজকে বলেন, আমরা নিয়মিত নানা বিষয়ে সোচ্চার। ওই দুটি ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে আমরা নানা কমসূচি আয়োজন করছি। এমন কি এমসি কলেজের ধর্ষণের প্রতিবাদে সিলেটে মানবন্ধন করেছি। টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমেও আমরা কথা বলছি ধর্ষণের বিরুদ্ধে।
আরেক নারী অধিকার সংস্থার নারী মৈত্রীর সদস্য সাম্মি আক্তার জানান, আপাতত করোনাকালীন ঝামেলার জন্য এখন অবধি কোনো আয়োজন হাতে নেওয়া হয়নি। তবে শিগগির ধর্ষণের প্রতিবাদে আওয়াজ তোলা হবে।
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, এসব সংস্থার কারও সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গতকাল রোববার আদালত নারী সংগঠনের এই নিরবতার বিষয়ে বলেন, ‘দেশে এতো এতো নারী সংগঠন। তারা আজ কোথায়? তারা কেন এই ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতের কাছে আসলো না। সত্যিই অবাক হলাম’।






















