জাতীয় ২০ আগস্ট, ২০১৯ ০৭:৩৬

মশার বিরুদ্ধে চিরুনী অভিযান শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট।। ইমরান

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এডিস মশার বিরুদ্ধে সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা, ডিএসসিসি, ডিএনসিসি ও পুলিশের সমন্বয়ে চিরুনী অভিযান শুরু হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের(ডিএসসিসি) মেয়র সাইদ খোকনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই থেকে কর্তৃপক্ষ ৫৮০০০ বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। ১১০০ বাড়ি থেকে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার(১৯ আগস্ট) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে পারটেক্স গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা ও দূর্গন্ধময় পরিবেশ পরিলক্ষিত হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এডিস মশা প্রতিরোধে নিয়মিত বাড়ি বাড়ি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

অভিযান পরিচালনায় ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি সমন্বয় সাধন করে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে উভয় মেয়রের পক্ষ থেকে।

এ পরিস্থিতিতে দুই সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এডিস মশা প্রতিরোধে তারা অক্লান্ত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ও এডিস মশা নিধনে সারাদেশে ইউনিট ভিত্তিক অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে। এই পদের নাম দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট অফিসার(ডিএমও)। যেখানে একজন উপপরিদর্শক(এসআই) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ডিএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা ও ভলান্টিয়ারী সংগঠন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন যে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল সরকারী উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, এছাড়া প্রধানমন্ত্রী প্রতি মূহুর্তে খোজ নিচ্ছেন ও নির্দেশনা দিচ্ছেন। রোববার(১৮ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন উভয় সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে কখন কয়জন ওষুধ ছিটাচ্ছে, কি কাজ করছে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী কি কি পদক্ষেপ  নেওয়া হচ্ছে  তা জানতে চেয়েছে বিচারপতি এফ আর এম কামরুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।