ডেস্ক রিপোর্ট।।
সৌদি আরব সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ফায়াদ বিন হামিদ আল-রুওয়াইলি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সৌদি আরব সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) জেনারেল ফায়াদ বিন হামিদ আল-রুওয়াইলি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, রিয়াদ এই ইস্যুতে সবসময়ই ঢাকার পাশে থাকবে।
সৌদি সিজিএস আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চমৎকার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে জেনারেল ফায়াদ বলেন, দিন দিন এই সহযোগিতা বাড়ছে। তিনি এ সময় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে বলেন, এনডিসির প্রশিক্ষণের মান অত্যন্ত উন্নত এবং আমরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে চাই।
জেনারেল ফায়াদ ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা আগ্রাসনে যেতে চাই না, আমরা শান্তি চাই। তিনি এ সময় সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মুসলিম উম্মার মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের দ্বন্দ্বের অবসান করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বন্দ্বের কারণে এই সুবিধাটি অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছে যায়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে উসকানি দেওয়া হয়েছে। তবে, আমরা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে, এই সহযোগিতা আরো জোরদার হবে। তিনি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং সৌদি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ সহায়তা এবং সরঞ্জাম সহায়তা বিশেষ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সহায়তা বহুমাত্রিক।
সন্ত্রসবাদ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে নিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সচেতনতা তৈরি করছে।
জেনারেল ফায়াদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তার দেশের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস
