নিজস্ব প্রতিবেদক: ২১ আগস্টের ভয়াবহ সেই দিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেদিন যে বেঁচে গিয়েছিলাম, সেটাই অবাক বিস্ময়।’
২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী স্মরণে আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই ২০০৪ সাল। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটা র্যালি করেছিলাম। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপরে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল এবং বিএনপির হাতে আমাদের ছাত্রলীগের নেতারা হত্যা হয়। তাদের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই আমরা একটি র্যালি আহ্বান করি। আর প্রকাশ্য দিবালকে যেখানে হাজার হাজার মানুষ, সেখানে আর্জেস গ্রেনেড মারা হয়েছিল। আর্জেস গ্রেনেড প্রধানত রণক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। আর সেটা ব্যবহার হলো আওয়ামী লীগের ওপর। সেটা ব্যবহার হলো আমরা যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি। মানুষের নিরাপত্তার জন্য। সেই মিছিল, সেই র্যালির ওপর আক্রমণ। একটা দুটা না—১৩টি গ্রেনেড। আর কত যে ওদের হাতে ছিল কে জানে। সেদিন যে বেঁচে গিয়েছিলাম, সেটাই অবাক বিস্ময়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওই ট্রাকের ওপর আমাদের সকল নেতাকর্মী ছিলেন, নিচে ছিল অগণিত নেতাকর্মী। মিছিল নিয়ে সারা এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে আমাদের নেতারা। আমি যখন বক্তব্য কেবল শেষ করেছি, নিচে নামব তখন ফটোগ্রাফার গৌরকি বলল, “ম্যাডাম একটু দাঁড়ান আমি ছবি নিতে পারিনি।” সঙ্গে থাকা অন্য ফটোগ্রাফাররাও বলল, “ম্যাডাম একটু দাঁড়ান”। ওই কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেল গ্রেনেড হামলা।’
এই হামলায় জড়িতদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন তো খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। কী ভূমিকা পালন করেছিল সে? সেটাই প্রশ্ন। সে কেন বাধা দিল পুলিশকে? সে কেন কোনো রকম উদ্যোগ নিল না আলামত রক্ষা করতে। এতে কী প্রমাণ হয়? গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে খালেদা, তারেক গং—এরা যে জড়িত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আমাদেরকাগজ/এইচএম






















