নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংবাদ কাভার করতে গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনী অনুসন্ধানী মিশন।
সোমবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় ইইউ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তারা এ কথা জানতে চান। গণমাধ্যমে স্বাধীনতাসহ অপরাপর বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রশিক্ষণের অভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে উপস্থাপন করেন।
সাংবাদিকরা বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চলে সাংবাদিকদের সংবাদ কাভারে নিরাপত্তার সংকটের কথা তুলে ধরেন। ইইউ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নির্বাচনের সংবাদ কাভারে মাঠের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চান। প্রতিনিধি দলের প্রধান রিকার্ডো শ্যালে জানান, তাদের প্রতিনিধি দল এখন পর্যন্ত বিভিন্নস্তরে ৭০টির বেশি বৈঠক করেছেন।
সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন পর্যায়ে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই সপ্তাহের সফরকালে সামনে আরও কিছু বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের ফলাফলের ভিত্তিতে তারা প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিন্ন নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি জোসেফ বোরেলের কাছে পেশ করবেন।
রিকার্ডো আরো বলেন, পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ। পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানো খুবই ব্যয় সাপেক্ষ। আর্থিক দিকসহ বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ২৮ সদস্য বিশিষ্ট ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইইউ বাংলাদেশে নির্বাচনে সাধারনত সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে থাকে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্যে প্রতিনিধি দলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
২০১৪ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এক প্রস্তাবে বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যেসব দল জড়িত তাদের নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। এ প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা জানতে চান জামায়াতের সঙ্গে কেন প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছে। জবাবে প্রতিনিধি দলের নেতা বলেন, বিভিন্ন মত ও দলের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে তারা জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আমাদেরকাগজ/এইচএম



















