জাতীয় ২৬ জুন, ২০২৩ ০১:০৭

রাজধানীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৯ জুলাই মুসলমানদের ত্যাগের ঈদ পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এ ঈদে কোরবানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস দেখা যায়। সে উপলক্ষে ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীর সবচাইতে পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী হাট হিসেবে পরিচিত গাবতলীতে একের পর এক ট্রাকবোঝাই গরু আসছে। শুরু হয়েছে বিক্রিও। যদিও ক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক চড়া। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির পশুর মূল বেচাকেনা হবে সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার। তবে আজ রোববার থেকেই পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।

গাবতলী হাট ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাপারীরা উচ্চ দাম হাঁকছেন। এরমধ্যে বিক্রিও চলছে। জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী এই পশুর হাটে বেচাকেনা।

অন্যদিকে বিক্রেতারা জানান, রাজধানীর বৃহৎ এই কোরবানির হাটে তারা এসেছেন আরও দু-তিনদিন আগে। এরইমধ্যে কিছু গরু বিক্রিও হয়েছে। তবে আজ রোববার থেকে হাট ভালোভাবে জমে উঠবে। শেষ সময়ে ভালো লাভের আশাও করছেন তারা।

টাঙ্গইল থেকে গরু নিয়ে আসা সাইদুল ব্যাপারী  বলেন, আসছি বুধবার। গরু আনছিলাম ১২টা। ৫টা এরইমধ্যে বিক্রি হয়েছে৷

কুষ্টিয়া থেকে ৭টি গরু নিয়ে আসা মো. নেয়ামত জানান, প্রথম চালানে যে ৭টা গরু আইছে, তার দুইটা বিক্রি হইছে। আরও আসতাছে।

সাভার থেকে শনিবার হাটে গরু নিয়ে আসা সিরাজ ব্যাপারী জানান, সাভার উপজেলাতেও কোরবানির পশু বিক্রির বড় হাট রয়েছে। সেখান থেকে গাবতলীতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাভারে হাট থাকলেও ওইখানের চাইতে গাবতলিতে কাস্টমার বেশি। বড়গুলোর কাস্টমার এই হাটে ভালো পাওয়া যায়। তাই প্রতি বছরই আসি।

প্রথম ধাপে চারটি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। এরমধ্যে সবচেয়ে ছোট গরুটির দাম হাঁকছেন ৭ লাখ টাকা। বাকিগুলো ৮, ১০ ও ১১ লাখ টাকা।

পাবনা থেকে এক ট্রাক গরু নিয়ে এসেছেন সালাম শিকদার। তিনি জানান, কোরবানির জন্য তিনি বিভিন্ন খামার থেকে ৩০টি গরু কিনেছেন। ইতোমধ্যে ঢাকার এই হাটে এক ট্রাক আনা হয়েছে। বাকি গরুগুলো অন্যান্য হাটে তোলা হবে। তিনি জানান, এবার দাম একটু বেশি হবে।

নাসির উদ্দিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কোরবানি করার জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এ বছর গরুপ্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। কোরবানি করতে হবে। এজন্য বেশি দাম হলেও গরু কিনতে হবে।


আমাদেরকাগজ/এইচএম