নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশি জাল মুদ্রা তৈরির পর এবার কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ভারতীয় জাল রুপি তৈরি শুরু করেছিল একটি চক্র। এমন তথ্য ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল টানা কয়েকমাস অনুসন্ধানে জাল রুপি তৈরির কারিগরসহ দুই মহিলা সঙ্গী আটক।
ঢাকার পাশ্বে মাতুয়াইল এলাকায় থেকে জাল রুপি তৈরির কারিগর জাকির ও তার দুই সহযোগীদের আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশে। এসময় ২৬ লাখ জাল রুপিসহ এছাড়া ল্যাপটপ, কালার প্রিন্টার, লেমিনেশন মেশিন, বিপুল পরিমাণ কাগজ, প্রিন্টারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কালি, সিকিউরিটি সিল সম্বলিত স্ক্রীন বোর্ড, গাম ও সিল মারা ফয়েল পেপারও উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাল রুপি তৈরির কারিগর জাকির জানিয়েছে, দীর্ঘদিন তিনি বাংলাদেশী জাল টাকা তৈরি করতেন। জেল খেটেছেন ৫ বার। বারবার জেলে যাওয়া-আর আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে এবার সে বেছে নিয়ে ছিলেন ভারতীয় জাল মুদ্রা তৈরির কাজ। তা ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এমন আরও কয়েকটি চক্র আছে যারা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জাল রুপির তৈরির কাজে সাথে বর্তমানে যুক্ত আছে।
তিনি আরও জানান, জাল রুপি তৈরি সম্পন্ন হলে, রাজশাহী ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের হাতে পৌছে দেওয়া হত এসব জাল রুপি। এক লাখে রুপিতে কমিশন পায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এভাবে প্রায় শতকোটি জাল রুপি ভারতে পাচার করেছে জাকির ও তার দুই মহিলা সঙ্গী।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল টানা কয়েকমাস অনুসন্ধান করে অবেশেষে খোঁজ পায় এ চক্রের। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার( উত্তর) জানান, অভিনব কায়দায় ভারতীয় রুপি তৈরি করেন জাকির ও তার দুই সঙ্গী। এর আগে এই চক্রকে অনেকবার আটক করা হয়েছে। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে আবার তারা আবার এ কাজে লিপ্ত হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে।




















