জাতীয় ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৬:৩৮

কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় দুদকের কাঠগড়ায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ সাতজন

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকায় একাধিক নামধারী রাজনৈতিক ব্যক্তি আটক হওয়ার পর এবার কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় দুদকের কাঠগড়ায় আওয়ামী লীগের সাবেক তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ সাতজনকে  দাঁড় করানো হয়েছে।

সূত্র বলছে ‘অবৈধ’সম্পদ অর্জন ও 'সেকেন্ড হোম' তৈরির তথ্য পাওয়া যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে সাতজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হলেও দ্রুত আরও অনেকের বিরুদ্ধে শুরু হবে তদন্ত।   

এই সাত জন হচ্ছেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, সাংসদ আসলামুল হক, সাংসদ এনামুল হক, সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি ও সাবেক সাংসদ এম এ জব্বার। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ইতোমধ্যে প্রত্যেকের সম্পদের বিবরণী  জমা নেওয়া হয়েছে এবং তা যাচাইবাছাই করে দেখার জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেও হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবো আমরা। 

এবিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সদস্যর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠকেই সরকারপ্রধান দুর্নীতিতে তার জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী পরিষদের প্রথম বৈঠকেই দলীয়প্রধান হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, দল থেকে প্রথম দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হবে। আর তারই অংশ হচ্ছে চলমান শুদ্ধি অভিযান। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, 'দুর্নীতিবাজদের ধরতে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজরা কেউই রেহাই পাবে না। দলের হোক বা যেখানকারই হোক।  

তালিকার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তালিকা এখানে বড় কথা নয়। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অভিযান চলবে। আর এই অভিযান থেমে যাবে বলে যেসব কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আওয়ামী লীগের ৯০ শতাংশ নেতাকর্মীই এই অভিযানের পক্ষে।'