নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত ও মিয়ানমার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড-এর ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০২৩ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ সোমবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) সকালে আগারগাঁও কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের যে অধিকার আছে সেটা নিদিষ্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করে। তখনও জাতিসংঘে এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এই আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাশ করে।
আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন নদীমাতৃক বাংলাদেশ এবং বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। ২১ বছর পর ক্ষমতা এদেশে আমাদের যে অধিকার আছে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ১৯৭৫ পরে যারা অবৈধ ভাবে সরকারগ্রহণ করেছিল তারা কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমি জানি না, তাদের এই ব্যাপারে সম্মুক ধারণা ছিল কী না। আমাদের উদ্যোগের ফলে ১৯৯৬ সালে কিছু কাজ করে যাই, দ্বিতীয় দফা সরকারে আসার পর থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নেই এবং সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার তা নিশ্চিত করি। এক দিকে মিয়ানমার, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। আমি চাই আমাদের কোস্টগার্ড আধুনিক, প্রযুক্তিজ্ঞান সর্ম্পন্ন, উন্নত, শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহণ সকলের নিরাপত্তা বিধানে আপনারা বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছেন। আপনাদের দায়িত্বপালনে বাংলাদেশের জনগণই সব থেকে লাভবান হবে।
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালছি। দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। ভূমিহীন মানুষদের আমরা বিনা মূল্যে ২কাটা জমি ও ঘর তৈরী করে জীবন জিবিকার সুযোগ করে দিচ্ছি। যাতে করে বাংলাদেশের মানুষ দারিদ্রের কষাঘারে ঝরঝরিত না হয়। নিজেরা নিজেদের পায়ে দাড়িয়ে প্রত্যেকের জীবন যেন উন্নত সমৃদ্ধশালী হয়। প্রত্যেকের সন্তান লেখাপড়া শিখবে, আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতি শিখবে, তারা নিজেরা উপার্জন করবে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। সেই আমাদের জনগোষ্ঠিকে স্মার্ট জনগোষ্ঠি গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
আমাদের কাগজ/টিআর




















