জাতীয় ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৫:২০

সূবর্ণচরের শাহ আলমের ইচ্ছাপূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট।।

নোয়াখালীর সুবর্ণ চরের একজন সাধারণ আওয়ামী লীগ কর্মীর নাম শাহ্ আলম। ষাটোর্ধ্ব শাহ্ আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত সেই তরূন বয়স থেকেই। জীবনে তার স্বপ্ন ছিলো কোন একদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি দেখবেন। তবে কখনো তার সেই সুযোগ হয় নি।

তবে কখনো সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেননি তিনি, গণভবনেও প্রবেশের সুযোগ পাননি। তাঁর মনের অন্তিম গহীনের কোনে একটি ইচ্ছা সবসময় সুপ্ত ছিলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে একবার দেখার।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আলম সেলিম সাহেব তার এ ইচ্ছার কথা ব্যাক্ত করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। অনেক মানুষের ভীড়ে আওয়ামীলীগ নেত্রীর কাছে তার আগমনের কারন জানার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে শাহ্ আলমের কথা শোনেন। এ সময় শাহ্ আলম তার স্ব-রচিত একটি কবিতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শোনাতে চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরবে দাঁড়িয়ে মনোযোগ সহকারে তার কবিতা আবৃতি শোনেন এবং ক্যামেরায় ছবি তুলতে নির্দেশ দেন। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গণভবনে শাহ্ আলমের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সদ্য তোলা দুটি ছবি বড় সাইজে প্রিন্ট করে তার হাতে তুলে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন। ছবি দুটি হাতে পেয়ে শাহ আলম নিজের চোখকেও যেনো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। আবেগে চোখের পানি চেপে রাখছিলেন বারবার।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাজারো ব্যস্ততা। মন্ত্রী-এমপি, সেনাপ্রধান-বিজিবি প্রধান, কেবিনেট সচিব-মুখ্য সচিবগণের সাথে দাপ্তরিক কাজকর্ম প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা তাকেই প্রদান করতে হয়। দলের ভিতর একের পর এক শুদ্ধি অভিযান চালানো থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ীদের সাথে মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা। 

এমনকি এই শত ব্যাস্ততার মাঝেও নিজ নির্বাচনী এলাকার মেম্বার কর্তৃক নিগৃহিত গ্রামের নারী-পুরুষের নালিশ শোনা, চোখের পাখি মুছে দিয়ে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দেয়া এবং শাহ আলমের মত কর্মীদের চিন্তাও তিনি করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্য়ন্ত একটার পর একটা প্রোগ্রাম করা এ সবকিছু একজন মানুষের পক্ষে কষ্টকর হলেও তিনি একাই সামলাচ্ছেন তার দেশের জনগনের চিন্তা করে ।

মাঝখানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অলপার্টি প্রতিনিধিদলের প্রায় ত্রিশজন সংসদ সদস্যের সাথে দীর্ঘ আলাপচারিতাও করেছেন। সারাদিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও শাহ আলমের মতো একজন সাধারণ কর্মীর সুখ-দুখের কথা মনোযোগ সহকারে শোনার মতো মানুষটিই হলো আমাদের জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শাহ আলমের সাথে প্রধানমন্ত্রীর ছবিঅনলাইন দুনিয়ায় প্রকাশের পর মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের আরেকবার আবেগের সাগরে ভাসান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি একজন সাধারন কর্মীরও খোজ রাখেন। তার ইচ্ছারও গুরুত্ব দেন। শত ব্যাস্ততার মাঝেও তিনি এই মানুষগুলোর কথা ভুলেন না। তাই বাংলা অন্তর্জালের নেটিজেনরা আবারো প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসার সাগরে ভাসান।