জাতীয় ২১ নভেম্বর, ২০২২ ১২:১৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ চেয়ে করা রিট খারিজ 

ছবিঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ ইন্টারনেট

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ ও অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন রাশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সামসুন নাহার লাইজু।

এর আগে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি শেষ হয়।

গত ৫ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটকারীর অভিযোগ, আব্দুল মোমেন ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ।

 

প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন আগে গত ১৮ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

তার এমন বক্তব্যের পর দেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে গত ২১ আগস্ট ‘বিতর্কিত’ এই বক্তব্যের জন্য আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ।

নোটিশে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ, সংবিধানে বলা হয়েছে—জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’ তবে এ নোটিশের কোনো জবাব পায়নি বলে জানান আইনজীবী রাশেদ।

এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর এরশাদ হোসেন রাশেদের পক্ষে আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ দুই জনকে বিবাদী করা হয়।


 

আমাদের কাগজ/এম টি