জাতীয় ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:২৪

জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ক্যামেরায় খেয়েছেন ধরা 

ছবিঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ ইন্টারনেট

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ সম্প্রতি আদালত চত্ত্বর থেকে থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর মোটরসাইকেলে করে জঙ্গিদের পালিয়ে যাওয়ার চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এর আগে রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার জজ আদালতের সামনে থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আবু সিদ্দিক ও মইনুল ইসলামকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, লাল রঙের একটি মোটরসাইকেলে করে হেলমেট পরা এক ব্যক্তি ওই দুই জঙ্গিকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময়ে একদম পেছনে বসা ব্যক্তির মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। মোটরসাইকেলটির সামনের নম্বর প্লেটের লেখা বোঝা যাচ্ছে না। তবে এটি টিভিএস কোম্পানির ফোরভি মডেলের মোটরসাইকেল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে, আদালত প্রাঙ্গণে তারা একটি মোটরসাইকেল ফেলে যান। জানা গেছে, সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে হাজিরা শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় ঢাকা জেলা জজ আদালতের গেটে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জঙ্গিরা আবু সিদ্দিক ও মইনুলকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা কর্তব্যরত পুলিশের চোখে অতর্কিতে স্প্রে করে ও পুলিশকে মারধর করে। আশপাশের অন্যরা বাধা দিতে এলে তাদের চোখেও স্প্রে করে জঙ্গিরা। এ সময় জজ আদালত চত্বরে এক ভীতিকর পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়।

পলাতক দুজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে হাজত খানায় নেওয়ার সময় চার আসামির মধ্যে তাদের ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। সহযোগীরা দুটি মোটরসাইকেল করে আদালতে এসেছিলেন। শামীম ও সোহেল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আব্দুস সবুর ও আরাফাত রহমানসহ ২০ জনকে এজহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পলাতক দুই জঙ্গি আবু সিদ্দিক ও মইনুল ইসলাম প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন ও অভিজিৎ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তাদের মদ্যে আবু সিদ্দিক এবং মঈনুল ইসলামও রয়েছে।

গোয়েন্দা সদস্যরা আসামিদের ধরতে কাজ শুরু করেছে। অলিগলিতে তল্লাশি করা হচ্ছে। ঢাকার সব পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। খুব দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

 

আমাদের কাগজ/এম টি