জাতীয় ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০২:১৬

মিরপুরের সব বাস ই–টিকিটে চলবে রোববার থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ রাজধানীর মিরপুরের ৩০টি কোম্পানির বাস রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। আজ শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটন এলাকায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পুরো ঢাকা শহরে ৬০টি কোম্পানি এ পদ্ধতি চালু করবে। আর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো ঢাকা জেলায় ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু হবে।

খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, মালিকরা ঘরে বসে তার ইনকাম জানতে পারবে। ঢাকায় বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে এ পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় ঠেকাতে ই-টিকেটিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটা একটা ভালো উদ্যোগ।

তিনি বলেন, আগামীকাল রোববার থেকে মিরপুরের ৩০টি কোম্পানিকে আমরা এ টিকিটের আওতায় নিয়ে আসছি। এর জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে মিরপুর মালিক সমিতির সেন্ট্রাল কমিটির মাধ্যমে সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারি কোম্পানির বাসকে ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনবো। এছাড়া আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরতলীতে (গাজীপুর, সাভার, নবীনগর, ধামরাই, মুন্সিগঞ্জ) চলাচল করি ৩৭টি বাসকেও ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনা হবে। সুতরাং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ঢাকা শহর এবং শহরতলীতে চলাচলকারী সকল বাস ই টিকেটিংয়ের আওতায় আসবে। ঢাকা শহর এবং শহরতলীতে মোট চলাচলকারী বাসের সংখ্যা হচ্ছে ৫ হাজার ৬৫০টি। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে চলে ৩ হাজার ১১৪টি এবং শহরতলীতে চলে ২ হাজার ৩৩৬টি।

ই-টিকেটিং চালু হলে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর যে অসম প্রতিযোগিতা থাকতো সেগুলো বন্ধ হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ই-টিকেটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ চালকদের বেতন নির্ধারণ করা দেওয়া থাকবে। ই-টিকেটিংয়ের জন্য বর্তমান থেকে আরও অনেক বেশি টাকা নির্ধারণ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে।

ই-টিকেট চালু হলে গাড়ির সংখ্যা কমে যায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সঠিক। শুরুর দিকে যখন আমরা ই-টিকেটিং রাস্তায় দেওয়া শুরু করেছি তখন মালিকরা ইনকাম ঠিকমতো পেত না। যার ফলে মালিকরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে উৎসাহী ছিল না। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা সাধারণ মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসের ভেতর ই-টিকেটিং মেশিনটি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

আপনারা তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামীকাল মিরপুরে ই-টিকেটিং চালু করবেন, এরপরও যদি অনেক বাস মালিক বাস না চালাতে আগ্রহী হয় সেক্ষেত্রে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্রে তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল থেকে যে কোম্পানিগুলোকে ই-টিকেটিংয়ের আওতায় নিয়ে আসছি তাদের মালিকদের সঙ্গে আমরা কথা বলে নিয়ে আসছি এবং তারা রাজি হয়েছেন। তারপরও না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাদের অবশ্যই ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ই-টিকেটিং সফল হলে আমরা আরও আধুনিক ব্যবস্থা করবো ভবিষ্যতে।

 

আমাদের কাগজ/ এম টি