নিজেস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা এবং ২১ আগস্টে গ্রেনেড মেরে নেতাকর্মীদের হত্যাকারী। বাংলার হত্যার যে রাজনীতি, তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস করতে জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে দাবি করতেই পারে। এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।
বাংলায় হত্যার রাজনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিরতরে বন্ধ করতে হবে এবং সেই লড়াই আমাদের চলছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গত ৩১ অক্টোবর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস করার দাবিতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বরাবর স্মারকলিপি দেন সোহেল তাজ।
জেলহত্যা দিবস আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩ নভেম্বর) ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের তিন মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র এবং তাদের হত্যার রাজনীতিকে পরাজিত করেছে।
আমাদের কাগজ/ইআ






















