জাতীয় ১ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০০

ভোলা থেকে গ্যাস আনতে তিন কোম্পানি প্রস্তাব 


নিজেস্ব প্রতিনিধি: উপকূলীয় অঞ্চল দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে গ্যাস আনতে তিনটি দেশীয় কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে। এসব কোম্পানিরা পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব দিয়ে বলছে, তারা ভোলা থেকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করে গ্যাস এনে দিতে পারবে দেশের অন্যান্য স্থানে এ দিকে পেট্রোবাংলা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পাশাপাশি বলছেন বিষটি নিয়ে ভেবে দেখতে হবে এটি থেকে দেশ অর্থনৈতিকভাবে কতটা লাভবান হতে পারে।
 
ভোলা থেকে গ্যাস এনে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া কোম্পানি তিনটি হচ্ছে ইন্ট্রাকো সিএনজি, সুপার গ্যাস ও অফসিডিয়ার সিএনজি। এই কোম্পানি তিনটিরই দেশে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন রয়েছে বলে জানা গেছে।


সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, ভোলা থেকে প্রতিদিন ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস 
সিএনজি করে নিয়ে আসা হবে। এতে দেশের জাতীয় গ্রীডে দৈনিক অন্তত ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হবে, যা দেশের কল্যানে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
পেট্রোবাংলার আরেক কর্মকর্তা জানান, ভোলার গ্যাস আমরা সিএনজিতে রূপান্তরিত করে কাভার্ডভ্যানে করে নিয়ে আসার প্রাথমিক পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছি আমরা।  এতে করে অল্প জায়গায় বেশি গ্যাস আনা সম্ভব হবে। এখন সেই গ্যাস নদীপথ হয়ে  সড়কপথে আনাটা কতখানি নিরাপদ হবে তা নিয়েই আমরা পর্যালোচনা করছি। নিরাপত্তার পাশাপাশি কারিগরি ও আর্থিক দিকও দেখা হচ্ছে।

১৯৯৫ সাল থেকে ভোলায় গ্যাস পাওয়া যায়। কিš‘ ভোলা শাহবাজপুর ছাড়াও ভোলা নর্থ এ গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাপেক্স। ভোলায় আরও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে। কিন্ত সেখান থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার মতো কোনও পাইপলাইন নেই।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, ভোলার গ্যাসক্ষেত্র থেকে এখন মোট ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনযোগ্য। এরমধ্যে ৬৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ভোলায়। এর বাইরে উদ্বৃত্ত হিসেবে রয়ে যাবে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। 

আমাদের কাগজ/ ই আ