নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের পঞ্চম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ছয় লাখ তিরানব্বই হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) মোট ৮টি মামলায় এ জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়াও রাস্তা ও ফুটপাতে মালামাল রাখায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৫টি মামলায় ২১,৫০০/- (একুশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মনসুরাবাদ হাউজিং এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৩টি মামলায় ছয় লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন খিলক্ষেত এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বাসা বাড়ী ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিস বিরোধী অভিযানে ৩ মামলায় আশি হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় অন্য ১টি মামলায় আরও ১০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও
ডিএনসিসির অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১৬নং ওয়ার্ডস্থিত পূর্ব কাফরুল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবেদ আলী এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে প্রায় ৮০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। ফুটপাত ও রাস্তায় মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৪ মামলায় ১১,৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান অভযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন সাতারকুল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় (তিন হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেঃ জেনাঃ মোঃ জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে: কর্ণেল মোঃ গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আমাদের কাগজ/ ইদি






















