ডেস্ক রিপোর্ট ।।
শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান তাজিয়া মিছিলে অস্ত্র, লাঠি ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ডিএমপি সদর দপ্তরে কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ডিএমপির সমন্বয় সভায় আশুরার শোক মিছিল আয়োজক কর্তৃপক্ষকে প্রতি নিচের নির্দেশনাগুলো মানতে বলা হয়েছে:
>> নির্ধারিত রুট ও সময়সীমা (নির্ধারিত সময়ে শুরু ও শেষ) মেনে চলতে হবে।
>> কোন পাইক (শোকের মাতম প্রকাশে আঘাত করে নিজের শরীর রক্তাক্ত করেন যারা) যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে বিষয়টি আয়োজক সংস্থা নিশ্চিত করবেন।
>> অংশগ্রহণকারীদের নিশানের উচ্চতা ১২ ফুট এর বেশি হবে না।
>> মিছিল ও অন্যান্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আয়োজক সংস্থা প্রতিটি সমবেত স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করবেন।
>> আয়োজক সংস্থা পর্যাপ্ত সংখ্যক আইডি কার্ডসহ সেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ছবিসহ তালিকা পুলিশের সংশ্লিষ্ট উপ-কমিশনারের অফিসে পাঠাবেন।
>> শোক মিছিলে সকল প্রকার ধারালো অস্ত্র, ধাতব পদার্থ, দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, লাঠি, ছোঁড়া, চাকু, তলোয়ার, বর্শা, বল্লব এবং আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ। পোশাকের সাথেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
>> মিছিল চলাকালীন সময়ে রাস্তার মাঝে বিভিন্ন অলি-গলি থেকে আগত লোকদের মিছিলে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না; মিছিলে অংশগ্রহণ করতে হলে মিছিল শুরুর স্থানে যেতে হবে।
>> মিছিল শুরুর স্থানে প্রবেশের আগে সকলকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও হাত দিয়ে দেহ তল্লাশি করে ঢুকতে দিতে হবে। তল্লাশি ছাড়া কাউকে মিছিলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী রাখতে হবে।
>> শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইমামবাড়া ও শোক মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সমাবেত স্থান ও এর আশপাশের সমস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। সন্ধ্যার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
>> মিছিলে উচ্চমাত্রার শব্দ তৈরি করার ঢাক-ঢোল, বাদ্য যন্ত্র, পিএ সেট ব্যবহার করা যাবে না।
>> মিছিল চলাকালীন সময়ে মিছিলের মধ্যে কোন গ্যাপ সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
>> তাজিয়া মিছিলে পাঞ্জা মেলানোর সময় শক্তি প্রয়োগ করে ভীতিকর পরিস্থিতি ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা তৈরি করা যাবে না।
>> মিছিল ও আশুরা কেন্দ্রিক অনুষ্ঠানে কাউকে চাদর গায়ে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।
২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলের আগে হোসাইনী দালানের ইমাম বাড়ায় বোমা হামলায় দুজন নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর মিছিলটিতে কড়া নজরদারি রাখছে পুলিশ।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।






















