ডেস্ক রিপোর্ট
করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক মৎস্যচাষি। জানা গেছে, মৎস্যচাষিদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মৎস্যচাষিদের অর্থ সহায়তা দেবে সরকার। ছয়টি ক্যাটাগরিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা দেয়া হবে।
আগামী মাসে প্রণোদনার টাকা চাষিদের মোবাইলে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। তবে এ অর্থ সহায়তা করোনাকালে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ নয়।
মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে প্রণোদনার অর্থ পৌঁছে দিতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি আগামী মাসে ক্ষতিগ্রস্তরা অর্থ সহায়তা পেয়ে যাবেন।
জানা গিয়েছে, মৎস্য অধিদফতরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ তাদের প্রকল্প এলাকার ৭৮ হাজার চাষিকে এ সহায়তা দিচ্ছে। প্রকল্প এলাকার মধ্যে রয়েছেন উপকূলীয় ১৬ জেলার চাষিরা। এ জন্য প্রকল্পটি ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করছে।
এ নিয়ে প্রকল্পের পরিচালক মাহবুবুল গণমাধ্যমকে বলেন, প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থচাষিদের তথ্য নিয়ে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। দ্রুত ডিজিটাল মাধ্যমে এ অর্থ চাষিদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের যে ছয়টি ক্যাটাগরিতে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে, সেগুলো হলো- ক্ষুদ্র মৎস্যচাষি, ক্ষুদ্র চিৎড়িচাষি, মাঝারি মৎস্যচাষি, মাঝারি চিৎড়িচাষি, কুঁচিয়াচাষি এবং কাঁকড়াচাষি।
প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১৬ জেলার ৭৫টি উপজেলার ৭৫০টি ইউনিয়ন। জেলাগুলো হলো- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা। এসব জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিস ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করেছে অনেকটা গোপনে। যা চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে ৭৮ হাজার জনকে মনোনীত করা হয়েছে। তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্টেই যেতে পারে এ নগদ অর্থ।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০১৮ সালে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরূপণ, সংরক্ষণ, সঠিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই আহরণ এবং উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ গ্রহণ করে মৎস্য অধিদফতর। আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত চলবে প্রকল্পটি। এ প্রকল্পে ১৮৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।






















