ডেস্ক রিপোর্ট
নৌবাহিনীর সদস্য ও তার স্ত্রী’র ওপর হামলা, বিদেশি মদ সেবন, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ইত্যাদির কারণ দেখিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার পদ থেকে ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আ ন ম ফয়জুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নৌবাহিনীর সদস্য ও তার স্ত্রী’র ওপর হামলা, বিদেশি মদ সেবন, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় কারাদণ্ড এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ১২-এর ১ উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতা বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে মঙ্গলবারই (২৭ অক্টোবর) কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। মন্ত্রী জানান, একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৬ অক্টোবর) ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে সোমবার ভোরে মামলাটি করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও দুই তিন জন। দীপুকে তিন দিন ও মিজানুরকে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওয়াসিফ আহমদের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় হাজি সেলিমের গাড়ি। ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে পেছন পেছন এলে কলাবাগানের ট্রাফিক সিগন্যালে হাজি সেলিমের গাড়ি থেকে দুই-তিন জন ব্যক্তি নেমে ওয়াসিফ আহমদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে গালাগাল করে ও হুমকি দেয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ হাজি সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার ও গাড়ি জব্দ করে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) মামলা দায়েরের পর দুপুরে র্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬ দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। র্যাব হাজি সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।




















