পীর হাবিবুর রহমান ।।
দুদকের নোটিশ পেয়ে ভিতরে বলেছিলো,'আমাকে ক্ষমা করে দেন,আমি মারা যাবো'।বাইরে এসে দেখালো তার দাম্ভিক রুপ।চোরের মার বড় গলা দেখলো গণমাধ্যমে দেশ।
বাংলাদেশের কোন আইন অনুমোদন করেনা এমন মানি লন্ডারিং মামলার তদন্তে ধরা পড়ে নোটিশ খেয়ে হাজির হওয়া গণমাধ্যম ব্যক্তির কথা বলছি।
তাকে নিয়ে একটা স্টেটাস লেখায় এক আপনজনও আমাকে একদিন আক্রমন করলেন।বললেন কোন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সিরিজ রিপোর্ট লেখায় তিনি ক্ষমতার দাপটে এমনটি করেছেন।তার টার্গেট চেয়ারম্যান!
আরে বাবা প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন টাকা না দিলে লিখে শেষ করে দেয়া হবে,এমন হুমকির অডিও রেকর্ড আছে!কেউ যদি অপরাধ করে তার বিচার হবেনা?কেনো বাবা তুমি যদি মনে করো ব্যাংক চেয়ারম্যান অপরাধী তথ্য প্রমানসহ দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দাও!কে মানা করেছে?
প্রধানমন্ত্রীকেও দাও?অপরাধীর পক্ষে সাফাই গাইতে লজ্জা করেনা?একদল নীতিহীন স্ববিরোধী আছে,ব্যাংক চোরদের সমীহ করে তাদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে জাতে উঠবে।শেয়ারবাজারের জুয়ারি থেকে স্বার্থে সমাজের চোর অপরাধী নষ্ট দূর্নীতিবাজদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরবে আবার বড় কথা বলবে।
এদের মর্যাদাবোধ নেই, বিবেক নেই,অনুশোচনাও নেই।লাজ লজ্জা কি তাও জানেও না।এরা স্বার্থ আর অর্থ বুঝে।অপরাধীর শত্রু তার বন্ধু!ব্যক্তিত্বহীন এসব সুবিধাবাদি নষ্ট সমাজের বাসিন্দা নারী পুরুষ মানতে চায়না অপরাধী যেই হোক সেই অপরাধী।সব অপরাধীর অপরাধকে ঘৃনা করো।
এটা পারেনা,কারন অপরাধের অহংকারে বাস করে আসা সেও যে অপরাধের অর্থবিত্তের লোভ মোহ লালন করে।সূযোগের সন্ধানে সস্তার মতোন ঘুরে।অপরাধী দূর্নীতিবাজের কোন পেশা নেই,দল নেই,আইনের চোখে সে অপরাধীই।যারা পক্ষে কথা বলবে তারা এই শ্রেনীভূক্ত।
মানুষের বিবেক জাগ্রত হোক।সকল অপরাধী আইনের আওতায় আসুক।দুর্নীতিবাজদের শৃংখল আর দম্ভ উৎপাত মুক্ত হোক প্রিয় স্বদেশ।
সুপ্রভাত বাংলাদেশ।