অর্থ ও বাণিজ্য ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:৩৭

'পেঁয়াজ সংকটের জন্য ভারত দায়ী'

ডেস্ক রিপোর্ট

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বর্তমান বাজারে যে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে এর জন্য অনেকটাই ভারত দায়ী। 

তিনি বলেন, ভারত হঠাৎ করে যে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেবে তা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। অথচ ভারত থেকে গড়ে প্রতি মাসে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হতো, তারা এটা সরবরাহ করতো। এভাবেই সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এবং রমজান মাসে পেঁয়াজ আমদানি করা হতো।

বুধবার দুপুরে রংপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে এই কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২২ থেকে ২৩ লাখ টন। এর মধ্যে পচে যাওয়ায় পেঁয়াজ থাকে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টন। ফলে আমাদের ৭/৮ লাখ টন ঘাটতি থাকে। এই ঘাটতির ৯০ ভাগ পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করা হতো। কিন্তু এবার ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে আমরা বিপদে পড়ে যাই।

তিনি বলেন, ‘বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সে কারণে দেশের বড় বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা নেয়। পেঁয়াজ জাহাজে করে আনতে এক মাস লাগে। এরপর সমুদ্রবন্দর থেকে বিভিন্ন জেলায় আসতে আরও ৭/৮ দিন লেগে যায়। তারা জানিয়েছে, যেহেতু পেঁয়াজের সিজন নয় তাই পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে দাম এমনিতেই বেড়ে যাবে। কারণ আমদানি খরচ বেশি পড়ে যায়। এরপরও আমরা জনগণের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ২০০ টাকা কেজি করে পেঁয়াজ কিনে টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মিশরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি মায়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনছি। ফলে কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’